1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি, দেখা হবে আদালতে: ব্যারিস্টার সুমন বিনোদবাড়ি আইডিয়াল কলেজের অভিভাবক সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্র না টর্চার সেল কলারোয়া চন্দনপুর ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বোর্ডির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সময় টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাতক্ষীরায় এইচপিভি টিকাদান সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা মেহেন্দিগঞ্জে আদম দালালের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা ২৩ পরিবারের মানববন্ধন সুরভী আক্তার মালা কথায় ফজলুর রহমান বাবু গাইলেন” বাবা” মুন্সীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে স্বর্গরাজ্য বেপরোয়া সিন্ডিকেট ইয়াবা বানিজ্য পঞ্চগড়ে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদন্ড

রাজধানীর ডেমরায় যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধু মৌসুমী এখন দিশেহারা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৯ ০৫ বার পঠিত

বিশেষ সংবাদদাতাঃ রাজধানীর ডেমরায় বসবাসরত বহু বিবাহে আসক্ত যৌতুক লোভী স্বামী বগুড়া জেলার দুপঁচাচিয়া থানার কোলগ্রামের গিয়াস উদ্দিন ছেলে সোহেল রানা প্রামাণিকের অত্যাচারে গৃহবধু মৌসুমী এখন দিশেহারা। তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকদাবী, একাধিক বিয়ে সহ নারী কেলেঙ্কারির অনেক অভিযোগ। সোহেল এক সময় নারী কেলেঙ্কারির দায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন।কিছুদিন বেকার থাকার পর পাখির ব্যবসা শুরু করেন। এ ব্যবসার আড়ালে করতেন ইয়াবা ব্যবসা। রাতারাতি অনেক টাকার মালিক হয়ে রাজধানীর অদূরে গাজীপুরে একটি বাড়ির মালিক বনে যান।
সোহেল বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন বগুড়ার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে।সংসারে তাদের একটা পুত্র সন্তানও আসে। কিন্ত সন্তানের প্রতি মায়া দরদ না করে ঘরে স্ত্রী থাকার পরও একাধিক নারীর সাথে প্রেমের ফাঁদ পেতে এবং সেই সব নারীদের দেহ ভোগ করে। এতে স্ত্রী বৃষ্টি বাধা দিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। বৃষ্টিকে মানসিক চাপে রাখতে তাঁর বাপের বাড়ী থেকে টাকা আনতে বলে অর্থাৎ যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারকে তালাক দেয়। এরপর নানারকম লোভ দেখিয়ে নিজ এলাকার জনৈকা চৈতী আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে । উক্ত সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিছুদিন পর পূর্বের বিয়ে গোপন করে পিরোজপুর জেলার সদর থানার মোস্তফা তালুকদারের মেয়ে সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা মৌসুমী বেগমকে বিয়ে করেন।
মৌসুমী বেগম বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে কুয়াকাটা যাচ্ছি। লঞ্চেই পরিচয় তাঁর সাথে । আমাকে দেখে তাঁর পছন্দ হয়।এরপর আমার পারিবারিক ঠিকানা নেয়। পরবর্তীতেে কিছুদিন পর আমাদের বাসায় এসে আমার মায়ের নিকট আমাকে বিয়ের করার প্রস্তাব দেয়। কিন্ত মৌসুমী একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারী। তাঁর আগের সংসারে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলের ভবিষ্যত চিন্তা করে এক সময়ে মৌসুমীকে বিদেশে পাড়ি দিতে হয়েছে। তিন বছর প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে এসেছে। মৌসুমীর মা সোহেলের বিয়ের প্রস্তাবের পর বিষয়গুলো তুলেছেন। মৌসুমী ছেলের দায়িত্ব নেয়ার শর্তে সোহেলকে বিয়ে করতে রাজী হন । সোহেল শর্ত মেনেই মৌসুমীকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর রাজধানীর ডেমরায় ভাড়া বাসায় উভয়ের সংসার জীবন চলছে। কিছুদিন যাবার পর মৌসুমী জানতে পারেন চৈতি আক্তার নামে সোহেলের আরও একটি স্ত্রী আছে এবং এর আগেও একটি বিয়ে করেছে। সেটা তালাক হয়ে গেছে।
সকল কিছুই মেনে নিয়ে মৌসুমী সংসার করতে দ্বিধা করেনি । সোহেলের প্রস্তাব মতে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির কথা বললে মৌসুমী স্বামীর প্রতি সরল বিশ্বাসে প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকা ও স্বর্ণালংকার বিক্রির করে ১০ লাখ টাকা সোহেলের হাতে তুলে দেন । আসলে সোহেল পাখি ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করতো সেটা মৌসুমীর জানা ছিল না । ইয়াবা ব্যবসা ও একাধিক নারী সঙ্গে মৌসুমীর দেয়া টাকা শেষ । এরপর সোহেল মৌসুমীকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিকে থাকে । মৌসুমী টাকা আনতে পারবে না, সাফ জানালে মৌসুমীর উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে মৌসুমী তালাক চেয়ে সোহেলের নিকট নোটিশ পাঠায় । তালাক কার্যকরের আগেই ধুরন্ধর সোহেল সংসার পুনঃসংযোজন করে l
কয়েকদিন পর সোহেল ব্যবসার সংকটের কথা বলে মৌসুমীর মাধ্যমে তাঁর মায়ের থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দেয় । মায়ের টাকা ফেরত চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ।একপর্যায়ে সোহেল উত্তেজিত হয়ে বলে আমার সাথে বাড়াবাড়ি করলে ও আমার কথা মত না চললে তোকে আমি ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দিবো ।
মৌসুমী বেগম বলেন, এর আগেও সে আমাকে ইয়াবা বিক্রির প্রস্তাব দেয় । আমি রাজী হয়নি । আমাকে বিয়ে করার আগেও সোহেল এ ব্যবসা করতো, তা আমি জানতাম না ।
মৌসুমী আরও বলেন, তার ইয়াবা ব্যবসা এবং আমার সাথে আবারও প্রতারণা এসব দেখে সংসার না করার কথা বললে সে আমাকে জীবননাশ ও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দিবে বলে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে ।
মৌসুমী বেগম আরও জানান, গত ২৬জানুয়ারী সন্ধায় আমাদের বাসায় আমার মাকে দেখতে আসে আমার ফুফাত দুই ভাই ও বোনেরা । এসেছিল এরমধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমার স্বামী সোহেল রানা প্রামাণিক আমাকে ফাঁসাতে ও হেয় করতে একজন সাংবাদিক এবং পুলিশ নিয়ে বাসায় আসে । আমাকে দেখিয়ে পুলিশকে বলতে থাকে, এই নারী আমার স্ত্রী । সে এখানে নারী ব্যবসা করে । তাকে অর্থাৎ আমাকে থানায় নিয়ে যেতে বলে । পুলিশ তার নির্দেশ মত আমাদের তিনজনকে থানায় নিয়ে যায় এবং পরের দিন কোর্টে উঠালে বিজ্ঞ আদালত আমাদের বেকসুর খালাস দেয় ।
শুধু পুলিশে দিয়ে বসে থাকেনি । পরিকল্পনা অনুযায়ী
পরের দিন তাঁর পোষ্য সেই কথিত হুলুদ সাংবাদিক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় ।
সোহেল রানা সাংবাদিক ম্যানেজ করে আমার বিরুদ্ধে আরো বানোয়াটি সংবাদ পত্রিকায় তুলে দিবেন বলে আমাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে ।
মৌসুমী আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রতারক
সোহেল আমার মাকে হুমকি দিচ্ছে, তার কথা না শুনলে আমাদের স্বামী স্ত্রীর একান্ত অন্তরঙ্গ মুহুর্তের গোপনে ছবি ক্যামরায় করে রেখেছে, এসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেট সহ সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দিবে ।
অর্থ হাতছাড়া ও সোহেলের নানারকম হুমকি ধামকি ও মিডিয়ার আক্রমনে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা এ নারী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তাই তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলের নিকট নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার দাবী করছে ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ