তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি -ঃ মাদরাসা অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢেকে রাখতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মাদরাসার শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই মাদরাসার আরবী প্রভাষক মুর্শিদে আলম। এ সময় সহকারী শিক্ষক হাছানুর রহমান, আব্দুল করিম, সহকারী গ্রন্থাকারীক হেলাল আলম, অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠির মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজহারুল ইসলাম মাদরাসায় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে। মাদরাসার অধ্যক্ষ পদ নিয়ে মামলা চলমান থাকায় ২২ জন শিক্ষক কর্মচারির মধ্যে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারি রেজুলেশন করে সভাপতিকে অবগত করে ওই মাদরাসার ২০ বিঘা জমির আমন ধান সংগ্রহ ও বিক্রয় কমিটি গঠন করেন এবং ধান সংগ্রহ করে মাদরাসার একটি কক্ষে সংরক্ষিত রাখা হয়।
পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদরাসা বন্ধ থাকার কারনে ধানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পূর্নরায় মাদরাসা সভাপতির সাথে কথা বলে ধান বিক্রি করে বিক্রিত টাকা গচ্ছিত রাখেন ধান সংগ্রহ ও বিক্রয় কমিটি। এ দিকে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং নিজের অনিয়ম দূর্নীতি ঢেকে রাখতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর ‘জলঢাকায় অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে মাদরাসার ধান বিক্রির অভিযোগ’
শিরোনামে রংপুর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারিদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করান অধ্যক্ষ হোসাইন আহম্মেদ। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার আহবান জানান ওই মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারিরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মাদরাসার সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকরা আমার কাছে ধান সংগ্রহ ও বিক্রি করার অনুমতির জন্য এসেছিল,আমি তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করতে বলেছি।
মাদরাসা অধ্যক্ষ হোসাইন আহম্মেদ বলেন, ‘মূলত যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারাই অনিয়ম করেছেন, আমি সাংবাদিকদের যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছি সেটাই সত্য।’