ষ্টাফ রিপোর্টার -ঃ ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো বর্তিকা জ্বালাতে হবে। একটি জাতির মেরুদন্ড হল তার শিক্ষা, আর সেই শিক্ষার মূল যেখানে গোড়া পত্তন, সৃজনশীল কাজের স্রষ্টা হলো পাঠাগার।
একটি এলাকার স্কুল-কলেজে,পাড়া মহল্লায় পাঠাগার গড়ে উঠে। সেখানে বিভিন্ন সময়ের, বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানীদের লেখা গ্রন্থ সংরক্ষিত করে রাখা হয়।
যুগে যুগে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জ্ঞান আরোহন করবে এবং নিজেদেরকে সমাজে বিভিন্ন জায়গায় প্রস্ফুটিত করার লক্ষ্যেই পাঠাগারের সৃষ্টি ।
কথায় আছে -“কোন জাতিকে ধ্বংস করতে চাও তবে তার পাঠাগারটাকে ধ্বংস করে দাও” তাই স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে আমরা একটি স্লোগান বলতে চাই “পাঠাগার তৈরি করো আলোকিত মানুষ গড়”
আমাদের ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, জেলা পাড়া-মহল্লায় ছোট বড় বেসরকারি পাঠাগার তৈরি করা দরকার। আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদেরকে মোবাইল নামক ধ্বংসের বাক্স থেকে সরিয়ে সৃজনশীল বইয়ের জগতে ফেরানো দরকার। ভালো ভালো লেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড়ই প্রয়োজন।
আমরা বর্তমানে যে সকল বেসরকারি পাঠাগার দেখতে পাই তা বড়ই জীর্ণ শীর্ণ। কোন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা বই নিয়ে। টেবিল চেয়ার এমনকি কোন আধুনিকতার ছোঁয়া নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে মধ্যম আয়ের দেশের জন্য অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অনেক কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেক অনেক টাকা এইসব ক্ষেত্রে বরাদ্দ আছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের শিক্ষা খাতে পাঠাগার তৈরি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সামগ্রী, সবকিছু যেন নড়বড়ে অবস্থা। এদিকে সরকারের নজর দেওয়া দরকার।
কারন একটি দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় বহন করে। তাই বাংলাদেশে যে সকল বেসরকারি পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদেরকে যে পরিমাণ সরকারি অনুদান দেওয়া হয় তা একেবারেই অপ্রতুল্য। আমরা চাচ্ছি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। একটি দেশের বর্তমান শিক্ষার্থীদের যদি আধুনিকায়ন ভাবে পাঠাগার তৈরি করে না দেওয়া হয়, তাদেরকে কখনোই পাঠাগার মুখী করা যাবে না ।কেননা বহির্বিশ্ব ওদের হাতের মুঠোয়।
তাই এরা পাঠাগারের কালো অক্ষরের বইগুলো পড়তে তাদের ভালো লাগে না। আমরা চাই সরকারের উদ্যোগে, বেসরকারি পাঠাগার গুলোকে আধুনিকরণ করে শিক্ষার্থীদেরকে বইমুখী করা, জাতিকে রক্ষা করা। তা না হলে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে গেলে আমাদের উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটা অনেক দূরহৃ হয়ে যাবে।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলে জোর দাবি তুলি আমাদের দেশে যে সকল বেসরকারি পাঠাগার রয়েছে, সরকারের অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সকলেরই ব্যক্তি উদ্যোগে যতটুকু সামর্থ্য পাঠাগার গুলোকে সংরক্ষণ করি এবং আধুনিকায়ন করার ব্যাপারে সচেষ্ট হই।