1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ অপরাহ্ন

আখাউড়ায় এক বৃদ্ধা নারীকে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধর

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৫৮ ০৫ বার পঠিত

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি -ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা নারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য চাহিদামত টাকা না দেওয়ায় ওই নারীকে মারধর করেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন। ভূক্তভোগী নারী সোমবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের আলমগীর চৌধুরীর স্ত্রী আসমা বেগম (৫৮)।
লিখিত অভিযোগ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসমা বেগম ৩ মাস ধরে ছেলের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য চেয়ারম্যান অফিসে যাচ্চেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার কাজটি করে দিচ্ছে না। সোমবার দুপুরে আসমা বেগম আবারও ছেলেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন। এসময় চেয়ারম্যান তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। আসমা বেগম এত টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আসমা বেগমকে থাপ্পর দিলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চেয়ারম্যান তাকে কয়েকটি লাথি মারেন। এসময় উপস্থিত লোকজন তাকে চেয়ারম্যানের কবল থেকে রক্ষা করে।
জানতে চাইলে আসমা বেগম বলেন, ৩ মাস ধরে মনির চেয়ারম্যানের কাছে যাইতেছি। তিনি আজ না কাল বলে আমাকে ঘুরাইতেছে। একদিন আমাকে হাতের ৫ আঙ্গুল দেখিয়ে ইশারায় টাকা দাবী করেন। আমি তাকে ৫ শ টাকা দিলে তিনি টাকা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। সোমবার দুপুরে আবারও আমি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তখন তিনি আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চায়। আমি বলি এত টাকার কি দরকার জানতে চাইলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে থাপ্পর মারেন। আমি পড়ে গেলে তিনি লাথি মারতে থাকেন। লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। লাথির আঘাতে কানে ও বুকে ব্যাথা পেয়েছি। কোমরের ব্যাথায় উঠতে বসতে পারি না।
আসমা বেগমের ছেলে সাব্বির চৌধুরী বলেন, আম্মা কথা বলার জন্য চেয়ারম্যানের রুমে যান। আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান আম্মাকে লাথি মারতেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আর কোন কথা না বলে ফোন রেখে দেন।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, আসমা বেগম অফিসে এসে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান সাহেব কাজটা ঠিক করেননি। কাউকে আঘাত করার অধিকার তার নাই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ