রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই গৃহবধূ ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পৃথক তিনটি স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় সৎ বাজার আঠারো দোন এলাকা থেকে এক গৃহবধূ ও কাছনা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধারসহ সাতগাড়া এলাকা থেকে আরেকজন গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকবাসি সূত্রে জানাগেছে, হারাগাছ সৎবাজার আঠারো দোন এলাকার বাদাম বিক্রেতা ফয়জার রহমানের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী সকিনা বেগম (৩৫)কে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ ঘরে পরিবারের লোকজন গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়া তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অপর ঘটনা ঘটে একই থানার কাচনা মধ্যপাড়া তকেয়ার পাড় গ্রামে। ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রাজু মিয়া (২৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি পেশায় থাই এ্যলুমোনিয়ামের মিস্ত্রী ছিলেন।
হারাগাছ থানার ওসি শওকত আলী চৌধুরী জানান, সকিনা বেগমের লাশ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে ময়না তদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাজুর আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ না থাকায় পরিবারে কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে নগরীর রামপুরা সাতগাড়া এলাকা থেকে সুলতানা সুমি (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুলতানা সুমি ওই এলাকার এএসএম বখতিয়ার রহমান তুষারের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমি মারা গেছেন এখবর প্রচার করে লাশ দাফনের জন্য গোসল করার সময় এলাকবাসির কাছে মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হলে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠিয়েছেন। মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব বসুনিয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত এর বেশি খিছু বলা যাচ্ছেনা।