বড়লেখা প্রতিনিধি -ঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে অক্সিজেন সংকটের মোকাবেলায় পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপন অপরিহার্য। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে প্রকৃতির সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিরূপ আবহাওয়া ও জলবায়ু মোকাবেলায় বিশ্বকে পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখামুখি। আসুন সবাই মিলে গাছ লাগাই, পরিবেশ ও জীবনবৈচিত্র্য রক্ষা করি।
“মুজিববর্ষে গাছ রোপন- পরিবেশের সংরক্ষণ” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বেচ্ছায় সহযোগিতার অংশ হিসেবে দক্ষিণভাগ এন.সি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জনাব সেলিম হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ১০০ টি ফলদ চারা প্রদান করেন।
তিনি রোপন পরবর্তী পরিচর্যায়ও পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রস্তুত। উনার সৌজন্যমূলক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জনান বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দরা।
বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়গনের তত্ত্বাবধানে নির্দেশনা মোতাবেক ৬ষ্ঠ শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থী নিজ নিজ বসতবাড়ির চারপাশে চারা রোপন করে।
বাস্তবায়নেঃ দক্ষিণভাগ এন.সি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
বড়লেখা, মৌলভীবাজার।
স্থানঃ শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থল।
চারার ধরনঃ বিভিন্ন প্রকার ফলের চারা ,বনজ ও ঔষধি গাছের চারা।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম গাছ লাগায় অথবা কোনো ফসল বোনে আর মানুষ ও পশুপাখি তা থেকে খায়, এটা রোপণকারীর জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হয়।’ (বুখারি: ২৩২০)।
যত দিন পর্যন্ত রোপণকৃত গাছটি জীবিত থাকবে ঠিক তত দিন যত প্রাণী, পশুপাখি ও মানুষ সে গাছ থেকে ফুল, ফল ও ছায়া অর্থাৎ যেকোনো উপকার পাবে, তা রোপণকারীর আমলনামায় সদকায়ে জারিয়া হিসেবে লেখা হবে।
রোপণকারী ব্যক্তি যদি মারাও যান তাহলে তাঁর আমলনামায় এ সওয়াব পৌঁছাতে থাকবে।