ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি -ঃ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২টি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে দুটি শর্তে ওনাকে মুক্তি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া কোডিভ-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। উনি দেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু এখনও বলছে বিদেশে যেতে দিতে হবে। জনগণ চাইলে তাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে চিকিৎসা নিয়ে যদি সুস্থ হয়, তাহলে বিদেশ যাওয়ার কী দরকার- জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শেখ হাসিনার সরকার ষড়যন্ত্রে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে একবার জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দিব না। আমরা জনগণের শক্তি নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত কবর। আওয়ামীলীগকে ষড়যন্ত্রের ভয় দেখায়েন না। বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন/ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মাঠে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভায় আইনমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি উন্নয়ন মূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, বিএনপির নেতারা এয়ার কন্ডিশন ঘরে বসে অভিযোগ করে- সরকার এটা করে নাই, ওটা করে নাই, সেটা করে নাই। তারা জনগণের সামনে এসে বলে না। সেখানে জনগণ থাকে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাজনীতি, নির্বাচন, গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। আমরা গণতন্ত্রে বিশ^াস করি। সেজন্য আমরা নির্বাচন করব। আপনারা আপনাদের জন-প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। এটাই শেখ হাসিনা সরকারের মূলমন্ত্র। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। যারা যে পদে পদে প্রার্থী হতে চান প্রার্থী হবেন। তিনি জনগণকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
এছাড়াও মন্ত্রী আখাউড়া হাসপাতালের উন্নয়নে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে। অচিরেই ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল করা হবে। চিকিৎসক সহ প্রয়োজনীয় জনবল দেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো: জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পিয়ারা আক্তার, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেনে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাসেদুল কাওছার ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম মোঃ সেলিম ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিম, য্গ্মু আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ।
এর আগে তিনি সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছেন। জনসভা শেষে তিনি সড়ক পথে নির্বাচনী এলাকা কসবায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের যোগদানের উদ্দেশ্যে আখাউড়া ত্যাগ করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের নেতা মনির হোসেন ও সমীর চক্রবর্তী।