এ,কে,এম বেলাল উদ্দীন,চকরিয়া -ঃ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যদিয়ে বড়ধরণের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২১ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী নাগরিক কমিটির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী জিয়াবুল হক নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৬২ ভোট।
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনায় আলমগীর চৌধুরীকে তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করেন।
ফলাফল ঘোষনাকালে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামান, চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী এবং নির্বাচনে ১৮টি কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিসাডিং কর্মকর্তা, নির্বাচিত মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মীরা।
এছাড়াও নির্বাচনে সংরক্ষিত ১২৩ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর রাশেদা বেগম (আনারস), ৪৫৬ নং ওয়ার্ডে ফারজানা ইয়াছমিন ফোরকান (অটোরিক্সা), ৭৮৯ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে সাধারণ ওয়ার্ডে পুরুষ কাউন্সিলর পদে
১নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি (টেবিল ল্যাম্প),
২নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (উটপাখী),
৩নং ওয়ার্ডে ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ (উটপাখী),
৪নং ওয়ার্ডে জাফর আলম কালু (ব্রীজ),
৫ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ফোরকানুল ইসলাম তিতু (ফ্লাস্ক),
৬ নং ওয়ার্ডে আবদুস ছালাম (ডালিম),
৭ নং ওয়ার্ডে নুরুল আমিন (উটপাখী), ,
৮নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব (উটপাখী) ও
৯ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন (ব্ল্যাক বোর্ড) নির্বাচিত হয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা দেখভালে একজন বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট ও ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। তাদের তত্তাবধানে চার প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের ৬টি মোবাইল ফোর্স ও দুটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স পুরো পৌরসভায় টহল ব্যবস্থায় ছিলেন। একইসাথে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ, ৯ জন আনসার সদস্য (৩ জন নারী আনসারসহ) দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, ১৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৩৯টি বুথে ১৮জন প্রিসাডিং কর্মকর্তা ও ২৭৮জন পোলিং কর্মকর্তা পুরো নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট ভোটার ছিলেন ৪৮৭২৪।
দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো। সেই কারণে
বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ছোট ঘটনা ব্যথিত বড়ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সূষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ভোটাররাও নিভর্য়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
প্রসঙ্গত: করোনার কারণে ইতোমধ্যে ১১ এপ্রিল প্রথমবার ও ২১ জুন দ্বিতীয়বার মিলে দুই দফা স্থগিত হয়ে যায় চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয় ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪জন প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী, নাগরিক কমিটির (স্বতন্ত্র) নারিকেল গাছ প্রতীকের জিয়াবুল হক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মনোয়ার আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কম্পিউটার প্রতীকের অ্যাডভোকেট ফয়সাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।