পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনার অপসারন করার দাবিতে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করে পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। এসময় রাস্তার দু ধারে প্রায় দুই কিলোমিটার বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে পড়ে। এসময় আটকে পড়া যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেটে রওনা দেন। বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনকারী আদালত ভবনের মুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আদালত চত্বরের ভিতরে বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী ও বিচারপ্রার্থীরা আটকে পড়েন। বিক্ষোভের সময় আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।
২৬ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ও সাধারন শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী,সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, সহ সমন্বয়ক খোরশেদ মাহমুদসহ বিচারপ্রার্থীরা বক্তব্য দেন।
তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনার আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর। আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। তখন আমরা তাদের অনিয়ম, দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক। এ বিচারকরা দুর্নীতির সাথে জড়িত তারা আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর। তারা একেক পর এক নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আসামীদের জামিন বানিজ্যের সিন্ডিকেট করেছেন। তাদের কারনে সাধারন বিচার প্রার্থী দিনের পর হয়রানীর শিকার হচ্ছে। দূর্নীতিবাজ এসব বিচারককে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
এর আগে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে গত ২২ জানুয়ারী পঞ্চগড় আদালত চত্বরে এই বিক্ষোভ করা হয়েছিল।