অর্থনীতি সংবাদদাতাঃ রাজস্ব এবং মুদ্রানীতি সঠিকভাবে পরিচালনা করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিত্যপণ্যের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বলে সরকারের বিভন্ন মহল দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে বাজারের গতি-প্রকৃতি রমজানকে লক্ষ্য করে উর্ধ্বগামী। রমজানে শাকসব্জির তুলনায় বিভিন্ন মশলা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, মাছ, মাংসসহ যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেসবের দামই লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। যা এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। শীতকালীন সব্জি রমজানের প্রধান ভোগ্যপণ্য নয়।
যদিও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ও আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য সহনশীল রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
স্থানীয় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। যদিও বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ছিল ৫০ টাকা প্রতি কেজি, সেই পেঁয়াজ এ সপ্তাহে চলছে ৮৫ টাকা কেজি। শীতকালীন সব্জির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের চাহিদা কমে গেছে, ফলে ডিমের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যদিও বেড়ে গেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কেজিতে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পোল্ট্রি মুরগির দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী থাকার পাশাপাশি আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোয় রমজানে ভোজ্যতেলের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনও কমেনি। মাঝে লেবেল তুলে বাড়তি দাম প্রিন্ট করা হয়েছিল তেলের বোতলের মোড়কে। সেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। একইভাবে চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে, যা বাজারে প্রবেশের পর চালের দাম স্থিতিশীল করবে বলে আশাবাদী বিটিটিসি।
এদিকে রমজান সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর রেয়াত প্রদান এবং শুল্কায়ন মূল্য যৌক্তিকীকরণের ফলে খেজুর আমদানির এলসি খোলার হার বেড়েছে। ফলে ভোক্তারা এই বছর কম দামে খেজুর কিনতে পারবেন বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডাল ও ছোলার মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ মনিটরিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে বিটিটিসি।