1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সহকারী শিক্ষকদের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত স্কুলে পাঠদান ব্যহত নেকড়ে আতঙ্কে লালমনিরহাট লামায় জীনামেজু অনাথ আশ্রমে কম্বল বিতরণ করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আটপাড়ার তেলিগাতী বৈদ্যনাথ হরেকৃষ্ণ একাডেমীরবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত গলাচিপা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কার্যক্রম উদ্বোধন শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দুয়ায় ইয়াং স্টার একাডেমী ফুটবল একাডেমীর শুভ উদ্বোধন করেন রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান নেত্রকোণা জেলার সাবেক যুবদলের সভাপতি মরহুম আল আমিন খান পাঠানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পঞ্চগড়ে জেলা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মেঘালয় থেকে আসা ৯০ লাখ টাকার গবাদিপশু চিনির চালান জব্দ খালেদদাদচৌধুরীসাহিত্যপুরস্কারঘোষণা, এবার পুরুস্কার পাচ্ছেন কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ

গলাচিপায় গভীর রাতে শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন ইউএনও

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪২ ০৫ বার পঠিত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপায়ও শীত যেন সাধারণ মানুষকে চেপে ধরেছে। শীতের অনুভতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গরিব খেটে খাওয়া অসহায় দরিদ্র মানুষ। কনকনে শীতে যখন মানুষের জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে ঠিক তখন রাতের আঁধারে গলাচিপা উপজেলায় হত দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ১০০ জন অসহায় ব্যক্তিদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়ছেন ছিন্নমূল খেটে খাওয়া অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষ। শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য শীত একটু বেশিই মনে হচ্ছে। শীত মনে হচ্ছে তাদের হাড়ের ভিতরেও গিয়া আঘাত করছে।

গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে পৌরসভার সাগরদী রোড ওয়াপদায়, খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট, আবাসন প্রকল্প ও এতিমখানা-লিল্লাহ বোর্ডিং এ শীতার্ত মানুষদের মাঝে গভীর রাতেও কম্বল নিয়ে হাজির হয়েছেন ইউএনও মিজানুর রহমান। কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের হাতে শীতবস্ত্র দেখে দুঃস্থ, অসহায় ব্যক্তিরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কম্বল পেয়ে পৌরসভার সাগরদী রোড ওয়াপদা এলাকার বাসিন্দা ভাপা পিঠা বিক্রেতা ফরিদা বেগম (৫৫) বলেন, আগে পুরাতন কাঁথা গায়ে মুড়িয়ে থাকতাম ঠান্ডায় ঘুম আসতো না। ইউএনও স্যারের কম্বল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। শীতে এখন রাতে ঘুমাতে আগের মত কষ্ট হবে না। লঞ্চঘাট এলাকার পারুল বেগম (৪৫) বলেন, দুই দিন ধরে রোদের দেখা পাচ্ছি না। ঠান্ডায় শরীর জমে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। ইউএনও স্যার কম্বল দিছেন এখন ঠান্ডা একটু কম লাগবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, প্রচন্ড শীতে নিম্ন বিত্ত মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। এভাবেই শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ