1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান পঞ্চগড়ে ঘোড় দৌড় দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়! উৎসবে মাতলো হাজারো মানুষ পঞ্চগড়ে জাগপা’র বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ পঞ্চগড়ে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রিজের কমিটি গঠন রতনীবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে উল্লখ যোগ্য ৬ পদে নির্বাচিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড়ে সাবেক রেলমন্ত্রীর জামিন না মঞ্জুর পঞ্চগড়ে আল ইহসান হজ গ্রুপ ও স্কুল অফ দা হলি কুরআন আয়োজিত প্যারেন্টিং প্রশিক্ষণ পঞ্চগড়ে যথাযথ মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ জুলাই আগষ্ট অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মৃতি নিয়ে স্মরণ সভা

আগামীকাল কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের জন্মদিন

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৮ ০৫ বার পঠিত

সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়াঃ আগামীকাল ‘বিষাদ সিন্ধু’রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭ তম জন্মবার্ষিকী।

প্রতিবছর তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তভিটায় দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন বাস্তভিটার জাদুঘরের দেখাশোনা করেন মীর মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী তিনি জানান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের আয়োজনে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল ১৩ ও ১৪  বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন কুমারখালীর লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মায়ের নাম দৌলতুন্নেসা। মীর মশাররফ জগনমোহন নন্দীর পাঠশালায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি কুমারখালীর এমএন হাই স্কুল, কুষ্টিয়া হাই স্কুল ও রাজবাড়ী জেলার পদমদী হাই স্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করেন।

১৮৬০ সালে মীর মশাররফের মা দৌলতুন্নেসা মারা যান। সেই সময় মীরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এ বয়সেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তিনি উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৫টি বই রচনা করে গেছেন। এরমধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মীর মশাররফ হোসেনের ‘আমার জীবনী গ্রন্থ’ থেকে জানা যায়, কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ ও ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ নামক পত্রিকা দুটিতে মশাররফ হোসেনের সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। গ্রামবার্তা পত্রিকায় মীর মশাররফ সাহিত্য, দর্শন বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করেন।

নীল বিদ্রোহের উপরে ‘জমিদার দর্পণ’ সহ প্রায় ২৫টি গদ্য গ্রন্থ রচনা করে মীর মশাররফ হোসেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম আধুনিক মুসলিম গদ্য শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। তার সম্পাদিত ‘হিতকরী’ (১৮৯০) পত্রিকায় বাউল শিরোমনি লালন ফকিরের উপরে প্রথম লালন জীবন দর্শন মহাত্মা লালন ফকির প্রকাশিত হয়।

তার পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও পদমদীর নবাব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পদমদীতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ