লূতফর সিকদার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ২৫ অক্টোবর২০২৪ ( বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় তক্ষক ও পিলারের ম্যাগনেট ক্রয়/বিক্রের প্রলোভন দেখিয়ে একটি প্রতারক চক্র মানুষের কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোঃ সুলতানুর নাহিদ ১৭৯ পূর্ব পাড়া ছোট বনগাঁ সামচু জোহ্যর ছেলে ও সাফায়েত হোসেন। ঢাকার মিল্কব্যরাকের সামনে কাজী অফিসের মালিক ও বিবাহ রেজিস্ট্রার সাহাবুদ্দিন বহু যাবৎ প্রতকরণার ফাঁদ তৈরী করে প্রতকরক চক্রটি সাধারণ সরল-সহজ মানুষের সাথে প্রতারনা ও হয়রানি করে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা বাজার এক বাসায় বসে অবৈধ প্রজাতির প্রাণী তক্ষক আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে মিলিত হয়। মিডিয়া হিসেবে কাজ করে সাহাবুদ্দিন, তক্ষকের ক্রেতা হিসেবে আসে রাজশাহীর নাহিদ ও তার স্ত্রী। কাজী সাহাবুদ্দিনের (কাবিন রেজিস্ট্রার) ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাহিদ। একটি সূত্রের জানা যায়, শাহাবুদ্দিন এবং রাজশাহীর নাহিদ সাথে মূলত পিলারের ম্যাগনেট, তক্ষক সহ বিভিন্ন বেআইনি ব্যবসা করে। এদের মহিলা সহযোগী হিসাবে সাথে নাহিদের স্ত্রী ও সংযুক্ত। ম্যাগনেট বা তক্ষক ক্রয়/ বিক্রয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই গ্রুপটি প্রতারনার ফাঁদ পেতে সহজ সরল মানুষের সর্বস্ব লুটে নেয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রতারক চক্রটি এমনই একটি ফাঁদ তৈরী করে। নাহিদের সাথে শাহাবুদ্দিনের যেকোনো কারনে বনিবনা না হলে নামাজের অজুহাতে শাহাবুদ্দিন বাহিরে গিয়ে পুলিশকে তথ্য দেয় বা আগে থেকেই ফাঁদ তৈরী করা ছিল, পরে হঠাৎ কয়েক মিনিটের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আসে। ঘটনা স্থল হতে একজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে রাস্তায়ই ছেড়ে দেয় ।
তবে নাহিদ ও শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ম্যাগনেট ও তক্ষক যাতীয় অবৈধ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
সচেতন মহলের চাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।