এস এম গোলাম রাব্বিঃ নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার বারহাট্টায় কাজ না করে ভুয়া রাজস্ব প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার ২ নং সাহতা ইউনিয়নের পাটলী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগী মসজিদ ও ইদগাহ কমিটির দাবী এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সহ উত্তোলন করা টাকা যেন কমিটির কাছে ফেরত দোওয়া হয়।
দৈনিক মানবজমিনের অনুসন্ধান ও বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২ নং সাহতা ইউনিয়নের পাটলী গ্রামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় পাটলী ইদগাহ মাঠ উন্নয়নে জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির বরাদ্দ ছিল দুই লাখ টাকা। প্রকল্পটির সভাপতি ছিলেন ২ নং সাহতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রফিক।প্রকল্পের অন্যান সদস্যরা হলেন ২ নং সাহতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রমজান,নেকবর আলী,মিলন,সোহেল ও রিদয় মাহমুদ।ইদগাহ মাঠে কোন কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি এমনটাই দাবী মসজিদ কমিটির।
অভিযোগকারী মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট ইদগাহ মাঠের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম তালুকদার জানান আমাদের পাটলী ইদগাহ মাঠের উপরে যে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।অথচ ইদগাহ মাঠের উন্নয়ন করেছি আমরা এলাকাবাসী চাঁদা তুলে।আমরা মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে কেউ উপজেলায় টাকা দেওয়ার জন্য আবেদনও করিনি।যারা টাকা তুলেছে তারা কোনদিন আমাদের কাছে আসেও নি।তাই যেহেতু দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধির মাধ্যমে এই ভুয়া রাজস্বের কথা জানতে পেরেছি তাই এখন আমি উত্তোলন করা ২ লাখ টাকা মসজিদে ফেরত চাই এবং ভুয়া রাজস্ব খাত দেখিয়ে যারা টাকা উত্তোলন করেছে তাদের বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার মোঃ জানু মিয়া জানান আমরা এলাকাবাসী মিলে অনেক কষ্টে ইদগাহ মাঠে ঢালাই দেই।এলাকাবাসীর শ্রমটাকে বাটপাররা প্রকল্প দেখিয়ে টাকা তুলেছে।মানুষ মসজিদের, মাদ্রাসার টাকাও খেতে শুরু করেছে।টাকা ফেরত এবং এই ভুয়া রাজস্ব প্রকল্পের সাথে জড়িত বাটপারদের বিচার দাবী করছি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আসলে এগুলো মূলত উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ন্ত্রণ করে।আমাদের অফিস থেকে আমরা কাজ দেখেছি তাই বিল দিয়েছি।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি জানান আমি বিষয়টি অবগত নই।এমন কিছু মাত্রই শুনলাম।বিষয়টি আমি দেখব।