বিনোদন সংবাদদাতাঃ অন্যের অনিষ্ট করার জন্য বাংলাদেশের জিহাদিগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করতে পারে। যুক্তিবুদ্ধি খাটিয়ে আমার বক্তব্য তারা খণ্ডন করতে পারে না বলে ক্রোধে ক্ষোভে আমার ফেক ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে ফেসবুকে পাঠায় । ফেসবুকের সিস্টেমে মানুষের অনেক রকম কুকীর্তি ধরা পড়ে, এরকম জঘন্য কুকীর্তি ধরা পড়ে না। সে কারণে সিস্টেম সেই ডেথ সার্টিফিকেট পেয়ে আমার একাউন্ট মেমোরিয়ালাইজ করে দেয়। অর্থাৎ একাউন্টের ওপর স্মৃতিফলক বসিয়ে দেয়। ফেসবুকের উঁচু মানের সিস্টেমও বুঝতে পারে না এই ডেথ সার্টিফিকেট ফেক, বুঝতে পারে না যারা ফেকের কাজ-কারবার করে, তারা আল্লাহর খাঁটি বান্দা, নবীজীর খাঁটি উম্মত।
এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা এই জঘন্য কাজ করেছে। ফেসবুককে দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করিয়েছে। ফেসবুকের সিস্টেম জেনে নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা–তাদের কাছে মোটেও লজ্জার বিষয় নয়। গত তিন দিন তারা আবার আমার মৃত্যু উদযাপন করেছে, আমাকে মেরে ফেলার আনন্দে ছিল আত্মহারা। আল্লাহু আকবর বলে আমার কণ্ঠনালী কাটার জন্য তো তারা গত তিরিশ বছর ছুরিতে শান দিচ্ছে।
মৃত্যু তো একদিন হবেই। আমারও হবে। যারা আমার ফেক ডেথ সার্টিফিকেট বানায়, যারা ছুরি শানিয়ে রেখেছে, তাদেরও হবে। মৃত্যুর আগে মৃত্যু হয়ে গেলে মানুষের চেহারা বেশ চমৎকার দেখা যায়। কারা আনন্দ করে, কারা আলহামদুলিল্লাহ বলে, মিষ্টি বিতরণ করে, কারা দুঃখ পায়, কারা ভাবে, কারা থাকে নির্বিকার।
নির্বাসিত কবি ও গবেষক তসলিমা নাসরিন সুখে ও শান্তিতে জীবন যাপন করুক, এই আমাদের প্রত্যাশা।
তার মেধার কলম পৃথিবী জুড়ে আলো ছড়াক।
এই আমাদের কামনা।