স্বাধীন বাবুঃ কাউছার জমাদ্দার মূলত একজন রাজনীতিবিদ হলেও স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি করছেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক যুগধ্বনি পত্রিকায় তিনি টঙ্গী শিল্পাঞ্চল প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শুরু করেন সাংবাদিকতা। এখন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখি করছেন। শতাধিক গান,পাঁচ শতাধিক কবিতা ও শতাধিক গল্প রচনা করেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার বিভিন্ন লেখা। লন্ডন থেকে প্রকাশিত “শতকলম” তার প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ। ঢাকায় থিয়েটার মঞ্চের সাথে যুক্ত হয়ে দরবেশ নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নাটকটি তৎকালীন নাটক পাড়ায় অর্থাৎ মহিলা সমিতি ও গাইড হাউস মঞ্চে নিয়মিত মঞ্চস্থ হতো। শত বঞ্চনা,নিপীড়ন,অনটন তার জীবনে এলেও সততা ও আদর্শ থেকে তিনি কখনও বিচ্যুত হননি।
রাজনৈতিক জীবন স্কুল থেকে শুরু হলেও মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকেই সক্রিয়ভাবে রাজনীতি শুরু করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার রাজনৈতিক গুরু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আদর্শ। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হল জাতীয় ছাত্রসমাজের আহবায়ক ও ১৯৯৪ সালে জাতীয় ছাত্রসমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় কমিটি হয়ে বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। গত একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে নির্বাচনী আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন।
ছাত্রদের বিভিন্ন দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন জোট সরকারের রোষানলে পড়ে, হামলা মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন।
সেসময়ে ক্যাম্পাসে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাঁধা দেয়ার কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেননি।
তিনি ১৯৭৩ সালের ১৬ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের দুরুইল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
তার বাবার নাম আবদুল খালেক ও মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ও ভাইদের মধ্যে প্রথম।
বিটঘর রাধানাথ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে এস এস সি, ১৯৯১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ এস সি ও ১৯৯২-৯৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। নাট্যকার ও সাহিত্যচর্চায় তিনি বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সদা হাস্যোজ্জ্বল,সদালাপী,সৎ ও আদর্শবান এই মানুষটার জন্যে সর্বদা শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।