ডেক্স রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে দাফনের আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কোনো আয়োজন ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।
১৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার পরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
মতিয়া চৌধুরী একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের অন্যতম নেত্রী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহুবার সম্মানিত হয়েছেন।
মতিয়া চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা হিসেবে স্বাধীনতা পদক বসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছিলেন।
তার রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য তিনি রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে দুই দফা জানাজা শেষে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়।
মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর পরিচয় সবাই জানে। কিন্তু তাঁকে কোনো গার্ড অব অনার জানানো হয়নি। কবরস্থানে দেখলাম কিছু পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। হয়তো এত লোকজন দেখেই তারা এসেছিল। কিন্তু তাঁকে গার্ড অব অনার দিতে কেউ আসেনি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মতিয়া চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা হয়নি।