এস এম গোলাম রাব্বি, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় সকাল নয়টা থেকে কমপ্লিট শাটডাউন চলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। উপজেলায় ঘণ্টার পর ঘন্টা ধরে চলছে শাটডাউন ।কখন বিদ্যুৎ আসবে এটাও নিশ্চিত হতে পারছে না সাধারণ মানুষরা।শাটডাউনের কারণে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার ২ লাখ মানুষ। ব্যাংক, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্করা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থাও। বিদ্যুত না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরাও।
এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমন আহমদ ও ফারজানা বেগম জানায়, আগে লোডশেডিং এর কারণে এমনিতেই পড়াশোনা করতে পারতাম না।এখন শুনতেছি কমপ্লিট শাটডাউন চলছে।আমাদের কারো বাসায় ব্যবহারের পর্যাপ্ত পানি তোলা নেই।এখন আমাদের স্বাভাবিক জীবন চালানো কঠিন হয়ে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে হাসপাতালের রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে।আর এখন ত কমপ্লিট শাটডাউন চলছে এখন ত কখন বিদ্যুৎ আসবে তার কোন নিশ্চিয়তা নেই।ইতিমধ্যেই আমরা দীর্ঘ সাত ঘন্টা শাটডাউনে কাটিয়েছি।এটা দীর্ঘ হলে অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পরবে।
উপজেলার দরুন সাহতা গ্রামের রাব্বি নামের এক কৃষক জানান আমার গরুর খামারে দুই তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেই সমস্যা হয়।কিন্তুু শাটডাউনের কারণে ইতিমধ্যেই সাত ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই।শাটডাউন যদি আরো দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে আমার মত উপজেলার অন্যান পোল্ট্রি খামারিরা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে।
বারহাট্টা পল্লী বিদুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ মাহফুজুর রহমান খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বেশ কিছু এলাকায় কমপ্লিট শাটডাউন চলছে।এটার মধ্যে আমার বারহাট্টা উপজেলাও আছে।তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গ, আজ ১৭ অক্টোবর ভোর ছয়টার দিকে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বারহাট্টা জোনাল অফিসের এজিএম মনির হোসেনকে আটক করে সেনাবাহিনী। দুপুর ১২ টার দিকে এজিএম মনির হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা পল্লী বিদুৎ সমিতির বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম মোঃ মাহফুজুর রহমান খাঁন।