ইমরান হোসেন রুবেল, সাভারঃ ঢাকার সাভারে অবস্থিত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করে চিকিৎসা সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে পরিদর্শনে এসে আহতদের চিকিৎসার অবস্থা দেখে এবং রোগীদের সাথে কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সারজিস আলম বলেন, সিআরপির ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের কাছে একাধিক তথ্য ও ছবি এসেছে এখানে রোগীদের বেডপ্যাড দেয়ার কথা সেখানে পেপার দেয়া হচ্ছে। এই পেপারতো ময়লা জিনিস, দোকানে কেজি দরে কিনতে পাওয়া যায়। কাটা জায়গা ক্ষতস্থানে পেপার লেগে ইনফেকশন হতে পারে। পেপারতো ময়লা জিনিষ।
সিআরপির আরেকটি বড়া সমস্যা হলো এখানের পরিবেশ অনেক নোংরা। এখানের নতুন ভবন আছে যার পরিবেশ ভালে। কিন্তু এখানের একজন বললেন, আজ থেকে কয়েকবছর আগে যে কক্ষগুলো পরিত্যক্ত হয়েছে সেই রুমগুলোতে রোগী রাখা হচ্ছে। এই রুমগুলোর অবস্থা গুডাউনের থেকে খারাপ, সেটা তো যৌক্তিক হতে পারে না। ভালো পরিবেশে রুগী থাকলে দ্রুত ভালো হবে ,খারাপ পরিবেশে রুগী থাকলে সেই রুগী আরও খারাপের দিকে যাবে।
তিনি বলেন, সিআরপির মেইন ভবনের যেটা দেখলাম আমরা আসছি বা আমাদের হেলথ টিম আসার খবর শুনে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষের ফ্লোর তড়িঘড়ি করে মুছা হচ্ছে। স্যাভলন দেওয়া হচ্ছে। এগুলোতো এক দুই দিনের জন্য আমাদের দেখিয়ে লাভ নেই। আমরাতো প্রত্যেক দিন আসতে পারবো না। এটা হতে হবে ৩৬৫ দিনের জন্য। রোগীরা এখানে জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না। এখানে যে মানুষগুলো কাজ করে, তাদের কি পরিবার নাই, তাদের পরিবার কি অন্য হসপিটালে যায় না, তারা দেখেনা যারা হসপিটালে যায় তারা অসহায় অবস্থায় যায়। এখানে স্টাফ যারা আছে, যারা রুগীর কাছে সবসময় যায় তাদের ব্যবহার খুব খারাপ। একটা রুগী ভালো ব্যবহার পেলে অনেকটা ভালো হয়ে যায়, এটাই সত্য। তারা যদি এই জায়গাটার কাজ না বুঝে তাদের দায়বদ্ধতা না বুঝে তাহলে তাদের কাজ করার দরকার নাই।
এখানকার খাবারের মানও ভালো না। রোগীরা যেদিন খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ দেয় তার পরদিন খাবার ভালো দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেছে এখানে যে মানের খাবার দেওয়া হয় সে খাবার খাওয়া যায় না। আবার বাহির থেকে কেউ খাবার নিয়ে গিয়ে খেতে চাইলেও নিতে দেয় না কর্তৃপক্ষ। এই দায় এখানকার ম্যানেজমেন্টের নিতে হবে। খাবার, সেবা নিয়ে এখানে যে সিন্ডিকেট এটা ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল করতে না পারবে যে পারবে এরকম একজনকে এখানে বসাতে হবে। আমাদের কাছে এমনও অভিযোগ আছে ১৫দিনেও একজন ডক্তর রোগীকে দেখতে যায় না।
আমরা এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো বলেন সারজিস আলম।