মোঃ হাচিবুর রহমান,নড়াইল প্রতিনিধি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা গ্রামে মোটর চুরির বিচারের নামে উল্টো চোরের কাছে মোটরের মালিক ভুক্তভোগীকে মাফ চাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে চন্ডিবরপুর ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নিধিখোলা গ্রামের খায়রুল মোল্লা ও ইপিআর নামের দুই ব্যাক্তির মটর চুরি হয়। তার দুইদিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে চুরি হওয়া মটর সহ এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় একই গ্রামের মৃত মালেক কাজির ছেলে চোর বাহের কাজি। পরে এলাকাবাসী চোরের বিচারের জন্য ওই গ্রামের হাফিজুর মাতুব্বর এর কাছে নিয়ে যায়। এসময় সাংবাদিক শেখ মিল্টন উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাকে বাধা প্রদান করে হাফিজর মাতুব্বর।এ বিষয়ে নিউজ করা যাবে না, কোনো ভিডিও করা যাবে না, আমাদের এলাকার বিষয় আমরা সমাধান করবো বলে ঐ মাতুব্বররা।একথা শুনে বাঁধার মুখে স্থান ত্যাগ করে সাংবাদিক মিল্টন। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুইটি মটরের একটির সম্পূর্ণ ও আরেকটির অর্ধেক যন্ত্রাংশ উদ্ধার পূর্বক মালিকদের বুঝিয়ে দেয় এবং পরদিন সকালে বাকি যন্ত্রাংশ সহ চোরের উপযুক্ত বিচার দিবে বলে আশ্বস্ত করে এবং এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় হাফিজুর মাতুব্বর এর লোকজন। পরে ভুক্তভোগী মোটর মালিকসহ এলাকাবাসী চলে যায়। পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে শুনা যায় চোর পালিয়েছে ঐ মাতুব্বরদের কাছ থেকে। খবর পেয়ে হাফিজুর মাতুব্বর এর কাছে চোর পালানোর বিষয়ে মোটরের মালিক ভুক্তভোগী খায়রুল মোল্লা জানতে চাইলে হাফিজুর মাতুব্বর বলে যা পেয়েছো তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা। খায়রুল মোল্লা তার ছেলে সাংবাদিক মোঃ আমিনুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তিনি একাধিক সাংবাদিক ওই এলাকায় পাঠালে অসংখ্য ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলে হাফিজুর মাতুব্বর চোরের বিচার না করে ছেড়ে দিয়েছে। পরে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ নিউজ আকারে প্রকাশ করলে অভিযুক্ত হাফিজুর মাতুব্বর ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক মোঃ আমিনুর রহমান এর পিতা ভুক্তভোগী খায়রুল মোল্লাকে হত্যার হুমকি দেয়।পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে হাফিজুর মাতুব্বর ও তার সহযোগীরা বলে চোর পালিয়েছে ফিরে এলে তার বিচার দেওয়া হবে।
সর্বশেষ দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ পর চোর বাহের কাজী এলাকায় আসলে ৭ অক্টোবর সোমবার রাতে চোরের বিচার হবে বলে পুরো গ্রামবাসীকে ডেকে একত্রিত করে বিচারের আয়োজন করা হয়।বিচারে চোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও জুতাপেটা করা হয়।
পরে এই বিষয়ে বিচার চেয়ে কেনো নিউজ করলো সাংবাদিক এটা অন্যায় হয়েছে এর বিচার দিতে হবে বলে হাফিজুর মাতুব্বর।পরে ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল তার প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকের বাবা মোটরের মালিক খায়রুল মোল্লাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ভুল স্বীকার করতে ও মাফ চাইতে বাধ্য করে।
এঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মটর চুরি করলো চোর, বিচার চাওয়ার অপরাধে ভুক্তভোগীকেই মাফ চাইতে হলো। যেখানে সময় মতো বিচার দিতে না পারায় মাফ চাওয়া উচিত ছিল বিচারকদের। এই এলাকায় বিচার নেই, ভুক্তভোগী খাইরুলের সাথে বিচারের নামে করা হয়েছে প্রহসন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।