বিশেষ সংবাদদাতাঃ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে নিজেকে প্রান করে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন জেলা বিএনপির বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন
২০০১ সালে শামীম ওসমান কে পরাজিত করে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। বিএনপির রাজনীতির উত্থান, পতন ও পুনরুত্থানের সবটাই দেখেছেন এই নেতা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সেসময় থেকেই নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীক আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন গিয়াসউদ্দিন ।
২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বি,এন,পির আহবায়ক দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মাথায় নেতৃত্বের গুণাবলী বিবেচনায় জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় এই নেতাকে।
বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। মিথ্যা মামলায় জেল ও খেটেছেন অনেক বার তবুও তিনি শামীম ওসমান এর আতংক ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক আওয়ামিলীগ এর এম,পি শামীম ওসমান বক্তব্যের মাঝেও গিয়াসউদ্দিন এর নাম নিয়েছেন এতেই বুজা যায় গিয়াসউদ্দিন কতটা জনপ্রিয় ছিলেন নেতাকর্মীদের আর আওয়ামিলীগ এর ছিলেন আতংক।
একসময় গিয়াসউদ্দিন বাড়ির সামনে প্রশাসন সহ ছাত্রলীগ যুবলীগ এর নেতাকর্মীরা মহরা দিতো।
শত বাধা পেরিয়েও সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেসময় গিয়াসউদ্দিন এর প্রভাব ছিল ব্যাপক। নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি ঢাকার কর্মসূচিগুলোতেও গিয়াসউদ্দিন এর নেতৃত্বে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করত।
এর ফলে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি থানায় গিয়াসউদ্দিন বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেসময়।
আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি সবসময় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন গিয়াসউদ্দিন । লড়াইয়ের মাঠে সবার আগে উপস্থিতি থাকতো গিয়াসউদ্দিন। এবং প্রতিটি কর্মীকে নিজের সন্তান এর মত আগলে রাখতেন, রাজপথের যোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ছাত্রজনতার পাশে নিজে সশরীরে থেকে আন্দোলনকে চাঙ্গা করেছেন।