বিশেষ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ৯নং নোয়াপাড়া চা বাগান এলাকার লোকমান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রফিক মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মৎ মুক্তা আক্তার নিজ দেবর কামাল মিয়ার সঙ্গে গত ১০সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে প্রেমের টানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্যে।
এদিকে রফিক মিয়া তার ছোট ভাই কামাল ও স্ত্রী মুক্তাকে খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয়-স্বজন সকলের বাড়িতে খোঁজ খবর করতে থাকেন, সেই সঙ্গে মাধবপুর থানায় হাজির হইয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেন,এই পর্যন্ত মাধবপুর থানা থেকে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে রফিক মিয়া মাধবপুরে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাব একটি দরখাস্ত দাখিল করেন গত কাল ২২সেপ্টেম্বর।
উক্ত দরখাস্ত বা অভিযোগে উল্লেখ করেন যে তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার আপন দেবর কামালের সঙ্গে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ সহ কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় গত ১০’সেপ্টেম্বর বিকেল প্রায় ৪’টার দিকে ।
নোয়াপাড়া চা বাগান এলাকয় খুঁজ নিয়ে জানাযায় রফিক মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে ছোট ভাই কামালের দীর্ঘদিন যাবত ধরে একটি সম্পর্ক চলে আসছে, এবিষয়ে রফিক মিয়া কিছুটা টের’পে’য়ে তার মা সহর’বানু’কে জানান এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, এই মাধক সেবনকারী লম্পট কামাল যেন আমার বাড়িতে আর না দেখি । এই খবর কামাল মায়ের কাছ থেকে শুনতে পেয়ে বড় ভাই’কে হাতে পায়ে ধরে বলে যে তুমি আমার বড় ভাই নয়, আমার বাবার মত এবং ভাবী আমার মায়ের মত তুমি কি সন্দেহ করছো ভাইজান।
এই দুষ্টু কামাল মিয়া তার স্বার্থ হাসিরের জন্য ছলে বলে কৌশলে রফিকের মন জয় করে এবং তার ফ্যামিলিতে আসা যাওয়া বারাতে থাকে। এদিকে রফিক মিয়া রোজগারের তাগিদে ভোর হতে রাত গভীর পর্যন্ত নোয়াপাড়া বাজারে একটি ফলমূলের ব্যবসা পরিচালনা করতেন প্রতিদিন, এই সুযোগে লম্পট কামাল তার মায়ের সমতুল্য ভাবীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও গভীরতা বাড়াতে থাকে গত দশ’তারিখে তাদের প্রেমের অবসান ঘঠিয়ে পালিয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্য।
রফিক মিয়াকে বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান অনেক খুঁজাখুঁজি করেছি তাদের’কে আজকে ১৪দিন ধরে, দেখেন ভাই আমার মোট তিনটি সন্তান ১০ বছর সংসারের ছোট একটি কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে তারা চলে যায় গত দম তারিখ, আমিও আমার বাচ্চা দুটিকে ফেলে। এবিষয়ে মাধবপুর থানা ও সেনাবাহিনী’কে অভিযোগ করেছি আমি যদি আমার স্ত্রী ও ছোট কন্য সন্তানকে ফেরৎ না পাই, তাহলে আমি এবং আমার যে দুটি বাচ্চা আমার কাছে রয়েছে আমি সহ আমার বাচ্চা দুটি নিয়ে বিষ খেয়ে দুনিয়া থেকে একসঙ্গে চলে যাবো।
এবিষয়ে মাধবপুর থানায় এই মামলা তদন্তকারী কর্মরত এএসআই আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোক করলে এই বিষয়ে তিনি জানান মামলাটি প্রক্রিয়াদীন রয়েছে।
এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধবপুর ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মাধবপুর থানা যদি ব্যর্থ হয় আমাদেরকে রেফার করবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো চিন্তার কোনো কারন নেই।