1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম

বগুড়ার শাজাহানপুরে জাল টাকা বিস্তার বেড়েছে মাদক বিক্রি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ ০৫ বার পঠিত

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ মাঠে পুলিশের নিস্কৃয়তায় মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বড়নগর সহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে প্রকাশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছেন স্থানীয় বিক্রেতারা।  মাঠে কাজ করার দাবি করেছেন থানা পুলিশ।

৫আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বড়নগর গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম(৩৮) এলাকায় ফিরে এসেছেন।  সে ওই গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক মুন্সির ছেলে।  মাদকের পাশাপাশি এই এলাকা গুলোতে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।  অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম আজাদ।  তবে কয়েক জনের নাম বলছেন যারা সরাসরি মাঠে জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। 

পুলিশের তালিকা ভূক্ত আবুল কালাম এলাকায় হিরোইন এবং ইয়াবা বিক্রির পাশাপাশি মোটর সাইকেল, ইজিবাইক চুরি এবং সড়কে ছিনতাইয়ের অভিযোগে অনেক বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।  তবে প্রতিবার আটকের কিছুদিন পর আবারো জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে এসে পুরাতন পেশায় জড়িয়ে পড়েন। 

আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ জাহিদুর রহমান উজ্জল সহ অনেকে বলেন,  কালাম এবং তাঁর সহযোগীদের অত্যাচারে গ্রামের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।  ৫আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের কার্যক্রম না থাকায় এরা আবারো প্রকাশ্যে ফিরে এসেছেন।  ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা বিক্রির পাশাপাশি সহযোগীদের দিয়ে সম্প্রতি জাল টাকা ছড়িয়ে  দিচ্ছে কালাম।  জাল টাকা নিয়ে এলাকায় নতুন আতংকও দেখা দিয়েছে।

আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার ভ্যান চালক রায়হান আলী এবং বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সম্প্রতি পাঁচশত টাকার কিছু জাল নোট সহ কালামের সহযোগী বড় নগর গ্রামের কাঞ্চা মেম্বরের ছেলে বাবুল হোসেন বাবলা(৩৮)কে আমরা আটক করি।  পরে বাজারে ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেই।

গোবিন্দপুর বাজারের ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামান রাজা বলেন, আবুল কালাম এলাকার দূদ্ধর্ষ অপরাধী।  মাদক, জালটাকা, ছিনতাই সহ সব ধরণের অপরাধে জড়িত।  এতদিন পালিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যে এসেছে।  বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক হলেও কয়দিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো অপরাধে জড়িয়ে  পরে।

জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমি জীবনে কোনদিন মাদক খাইনি এবং বেচিনি।  জীবনে কোনদিন চুরি, ছিনতাই করি নাই এবং জাল টাকা ধরে দেখি নাই।   মানুষজন আমার নামে মিথ্যা কথা বলে।  ৩মাস আগে উপজেলার রহিমাবাদ বিব্লক এলাকায় এক ছেলের অনুরোধে একটি ইজি বাইক চালিয়ে নিয়ে আসার সময় লোকজন ধরে আমাকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছিলো।  আড়িয়া ইউনিয়নের নয়মাইল এলাকার এনামুলের ছেলে রনি ও রাসেল জাল টাকা ভাঙে(ছড়িয়ে দেয়)।  পাঁচশত টাকার জাল নোট ভাঙাতে এসে রনি কয়েকদিন আগে বড়নগর গ্রামে ধরা পড়েছিলো। 

মঙ্গলবার(১৭সেপ্টেম্বর) শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মাঠে রয়েছে এবং কাজও করছে।  নতুন ওসি এসে বিষয় গুলো দেখবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ