1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান পঞ্চগড়ে ঘোড় দৌড় দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়! উৎসবে মাতলো হাজারো মানুষ পঞ্চগড়ে জাগপা’র বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ পঞ্চগড়ে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রিজের কমিটি গঠন রতনীবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচনে উল্লখ যোগ্য ৬ পদে নির্বাচিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড়ে সাবেক রেলমন্ত্রীর জামিন না মঞ্জুর পঞ্চগড়ে আল ইহসান হজ গ্রুপ ও স্কুল অফ দা হলি কুরআন আয়োজিত প্যারেন্টিং প্রশিক্ষণ পঞ্চগড়ে যথাযথ মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ জুলাই আগষ্ট অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মৃতি নিয়ে স্মরণ সভা

ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫১ ০৫ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুরঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি চন্দ্র সরকারকে পীরগঞ্জের শিবপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে তাকে বদলির কথা জানান গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার ভুমি জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি । গত ১০ সেপ্টেম্বর পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। জানা যায়,গঙ্গাচড়া ভুমি অফিসের পিয়ন পদে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে ভূপতি চন্দ্র সরকার (৫০) কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি বাবার পৈত্রিক সম্পতি হিসেবে পেয়েছিলেন মাত্র ৪ শতক বসতবাড়ি। তার অন্য তিন ভাইও বাবার বসতবাড়ির সমান ভাগ পান। দুই ভাই মারা গেছেন। ভাইয়েরা এক শতকও জমি কিনতে না পারলেও ভূপতি মহন্ত কিনেছেন ৪ থেকে ৫ একর আবাদি জমি। গ্রামে নির্মাণ করেছেন বিলাস বহুল দু’টি বাড়ি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ৪ কোটি টাকায় কিনেছেন রংপুর নগরীতে সাত শতক এবং কোটি টাকায় গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় ৮ শতক জমি। তিনি শ্বশুর বাড়ি এলাকায়ও কিনেছেন নামে-বেনামে অবাদি জমি। আছে স্ত্রীর নামে ব্যাংক ব্যালেন্সও।স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার ভূপতি সরকারের ।বড় ছেলে শুভ চন্দ্র এসএসসি পাশ করে আর কলেজে ভর্তি হয়নি। দ্বিতীয় ছেলে সজিব চন্দ্র মহন্ত একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস তৃতীয়বর্ষে অধ্যায়নরত। পিয়ন পদে এ সামান্য বেতনে চাকরি করে তাঁর এত সম্পদ অর্জন নিয়ে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।তিনি গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পিয়ন পদেই কর্মরত ছিলেন।সেখানে সেবা নিতে আসা লোকজন তাকেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে চিনেন। তার চা, পান ও অফিস পরিস্কার রাখা কাজ হলেও তিনি অফিসিয়াল যাবতীয় কাজ করেন। জমির নামজারি করে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও কারও জমির কাগজপত্রে ভেজাল থাকলে সেটি নিয়েও তিনি দেনদরবার করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।এছাড়াও ভূপতি চন্দ্র সরকার লন্ডন প্রবাসী আজিজুলের জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে উপজেলার পশ্চিম চেংমারী গ্রামের সুজন মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ লাখ, মেরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৭৫ হাজার এবং মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ করেন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর রংপুর,মাহমুদ হাসান মৃধা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ