1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে সড়কে শুয়ে চা চাষীদের বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মুন্সীগঞ্জে আলোচিত জিল্লুর হত্যার দীর্ঘদিন পলাতক আসামি সম্পদ কারাগারে রাজশাহীতে আন্দোলনকারীদের উপর হাম’লা ও ছাত্রীকে ধর্ষ’ণের পর হ’ত্যার অভিযোগে, তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আ’টক মুন্সীগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে হেলমেট পরে গুলি করেন ছাত্রলীগের নোবেল-সাগর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিসির শত অনিয়মের পরেও বহাল পঞ্চগড়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ, আটক ৪ তানোরে পাউবোর  জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ৩ নেতাকে নোটিশ রংপুরে লকার ও কালো কাগজের একটি বান্ডিল উদ্ধার

পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, তোপের মুখে ইনচার্জের পদত্যাগ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭০ ০৫ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ কিছু দিন ধরে পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি কারে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সেই দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের চার ছাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তীব্র আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুন।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে নার্সিং ইন্সটিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছুটে আসে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে আন্দোলনের মুখে বিকেলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ইনচার্জ আমেনা খাতুন। 

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা। প্রতিষ্ঠানটিতে সংঘর্ষ এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, কিছু দিন ধরে পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দেয়। তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইনচার্জ আমেনার পক্ষে আর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। বুধবার দুপুরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে প্রথম বর্ষের খাদিজাতুল কুবরা ও আঞ্জুমান আরা খুশি এবং তৃতীয় বর্ষের আয়েশা সিদ্দিকা ও মোর্শেদা খাতুন আহত হয়। তাদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ইনচার্জের পদত্যাগের দাবিতে নার্সিং ইন্সটিটিউটের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছুটে আসে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অবশেষে বিকেলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ইনচার্জ আমেনা খাতুন।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী পাপড়ি রায় বলেন, আমরা কিছু দাবি দাওয়া উপস্থাপন করেছিলাম ইনচার্জের কাছে। তিনি দাবিগুলো মেনেও নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তিনি ক্লাশে ঢুকে যারা এই দাবি তুলেছিলো তাদের শায়েস্তা করতে ইন্সটিটিউটে তার ছেলের মাধ্যমে বাইরের ছেলে ঢুকানোর হুমকি দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ আমরা সবাই তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলাম। সেখানে তিনি সহ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।

তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা  বলেন, ওরা ইনচার্জকে ঘরে ঢুকিয়ে মারধর করছিল। আমাদেরকেও ঢুকতে দিচ্ছিলো না। আমরা প্রতিবাদ করলেও আমাদেরও মারধর করা হয়।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন, নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইনচার্জ পদত্যাগ করেছেন। যেহেতু এখনো দুটি পক্ষ সেখানে অবস্থান করছে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ  রাখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ