জিহাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার সহযোগি বোরকা শামীম ও সেলিনা হায়াত আইভীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ আগষ্ট ঢাকা নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডের শিবু মার্কেট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিমুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী মো.আরিফ,শিক্ষার্থী তন্ময়,অভিভাবক মো.রাজু,অভিভাবক গাজী মো.সেলিম আহমেদ, শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম এবং অভিভাবক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার।
এ সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে মো.আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুপোকাত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনা। তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে তিনি দূর্নীতি ও হত্যাকান্ড ছাড়া তেমন কিছুই উপহার দিতে পারেনি। তিনি বলেছিলেন যে,প্রতিটি ঘরে একজনকে চাকুরী দিবেন। কিন্তু সেটা না করে উল্টো প্রতিটি ঘরে একটি করে লাশ ও মামলা উপহার দিয়েছেন। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে এমন স্বৈরাচারীনি সরকার চাইনি। তিনি আরও বলেন,বিগত ১৫ বছরে এখানে যারা দখল দারিত্বের রাজনীতি করেছেন তারা সবাই আপনার আমার আশপাশেই রয়েছেন। তাদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।
এ সময় অপর বক্তা বলেন,দীর্ঘ ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম খলিফা শাহনিজামের ছত্রছায়ায় নয়ামাটি লামাপাড়া এলাকার চিহিৃত ভুমিদস্যু ও মাদকের গডফাদার চুন্নু ও মিথুন বাহিনীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়েছিলাম। শাহ নিজামের প্রেতাত্মা চুন্নু ও মিথুনরা এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরছেন আর নিরীহ মানুষকে হুমকী প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন,৪ আগষ্ট শামীম ওসমান,তার ছেলে অয়ন ওসমান ও শাহ নিজামের পাশে থেকেই চুন্নু-মিথুনরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর বৃষ্টির ন্যায় গুলিবর্ষন করেন। আমরা চাই ঐ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সকল অপরাধীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হোক।
অন্যান্য বক্তারা বলেন,এনসিসি মেয়র আইভী ছিলেন একজন নিরব ঘাতক। তিনি উন্নয়নের নামে নিজের আখের গোছাতে রাস্তা চওড়ার নামে সাধারন মানুষের জমিগুলো দখলে নিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি কোন জমির মালিককে বিন্দুমাত্র টাকা দেয়নি। আমরা চাই সদ্য অপসারনকৃত মেয়র আইভীকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তার যাবতীয় দূর্নীতিগুলো জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হোক। তারা মানববন্ধন থেকে অনতিবিলম্বে চুন্নু-মিথুন-রানা মোল্লা-বিল্লালসহ তাদের সঙ্গীয়দের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার জোর দাবী জানান।
ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক ছাত্র ও জনতা অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধন শুরু পুর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয় এবং পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সারাদেশে যারা চিকিৎসাধীন হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া করা হয়।