তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেট নির্মাণ ও হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করে ভরা বর্ষা মৌসুমে কাজ করায় কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিন আকচা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল গেটের ওয়াল তোলা সম্পন্ন হয়েছে। গেটের নিচে ঢালায় ও প্লাস্টার করা হচ্ছে। নিচের ঢালায়ে ইট বিছানো রয়েছে। ভিজা সেঁতসেঁতে ইটের উপর ঢালায় দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টির পানির মধ্যেই চলছে কাজ। কোন কর্মকর্তা বা স্কুলের কোন শিক্ষক থাকছেনা কাজের সময়। ঠিকাদার ইচ্ছে মতো দায়সারা কাজ করছেন। সেখানেই ছিলেন ঠিকাদারের এক ব্যক্তি তার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, একাজের জন্য ঠিকাদারের দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা লোকসান হবে। অফিসের কোন লোক নাই ভিজে সেঁতসেঁতে ইটের উপরে কিভাবে ঢালায় হয় জানতে চাইলে তিনি জানান সিডিউলে যেভাবে উল্লেখ আছে সে ভাবেই কাজ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। কাজটি করছেন শাহিন নামের এক ঠিকাদার। এবিষয়ে আকচা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে গত রোববারে হাতিশাইল স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসের ব্রেঞ্জ বাহিরে আছে। কয়েকজন ব্যক্তি ঘরের মধ্যে কাজ করছেন। স্কুলের ঘর,অফিস রুমের ছাদ ঢালাই, বাথরুম প্লাস্টার এবং রংয়ের কাজ করা হচ্ছে।
স্কুলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, কাজ খুব ধীর গতিতে চলছে। কাজের মান একেবারেই নিম্নমানের। কোন কিছু বললেই প্রধান শিক্ষক বাধা দিচ্ছেন। বিগত তিন মাস ধরে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে কাজ। সংস্কার কাজ করার জন্য সঠিকভাবে পাঠদান হচ্ছে না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন লোক আসে না। ইচ্ছে মত আয়েশ করে চলছে কাজ। সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে আমাদেরকে জানায়। কে ঠিকাদার তাও আমরা জানি না।এবিষয়ে হাতিশাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়নাল উদ্দিন বলেন, কাজের ভালো মন্দ তো বুঝিনা। শুধু বলেছি ভালো মানের কাজ করতে হবে।এবিষয়ে
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (তানোর) শরিফুল ইসলামের মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় কোন অর্থ বছরের কাজ ও কত টাকার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে, তিনি জানান আমি বাহিরে আছি ফাইল দেখে বলতে হবে। বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিটে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, এসব জানতে হলে অফিসে সরাসরি আসতে হবে। তিনি চায়ের দাওয়াত দেন। কতদিন আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং কাজ শুরুর ও শেষের মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছুই জানাননি। তবে এসব কাজ জুন মাসের আগেই শেষ করার নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সে নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।