স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলা’র সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আকবর হোসেন এর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার দায়িত্বে থাকা ক্লাস্টারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামত ও রুটিন ম্যান্টিনেন্সের বরাদ্দের চিঠিতে সই করতে ঘুষ নিয়ে পকেট ভারি করেছেন। শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলেই ঠুনকো অভিযোগও শোকজ-সহ হয়রানি করা হয়।
মো.আকবর হোসেন এর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়, প্রতিবছর বিদ্যালয়গুলোতে স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামত ও রুটিন ম্যান্টিনেন্সের বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আকবর ঘুষ ছাড়া বরাদ্দের কাগজে সই করেন না। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে স্লিপ বরাদ্দের জন্য তাকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এছাড়া ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দ দিতে ১০ হাজার ও রুটিন ম্যান্টিনেন্স থেকে ৭ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে আসছেন।
বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানের জন্য এ ক্লাস্টারের অধিনস্ত সহকারী শিক্ষকদেরকে ভয় দেখিয়ে মো.আকবর লক্ষাধিক টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন।
প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০-১০০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
বিভিন্ন কাজে অফিসে গেলে শিক্ষকরা তাকে পান না। মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি প্রতি বুধবার ১২টার মধ্যে অফিসে আসার জন্য বলেন।
সরকারিভাবে মো.আকবরের জন্য মোটরসাইকেল বরাদ্দ থাকলেও তিনি তা ব্যবহার করেন না। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকদেরকে ডেকে এনে তাদের মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। এবং শিক্ষকদের থেকে স্কুল ভিজিটে টাকা নেন। এতে পাঠদান ব্যহত হয়।
মাতৃত্বকালীন ছুটির অনুমোদন নিতে দিতে হয় টাকা। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৩০০-৫০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন প্রধান শিক্ষক ও তিনজন নারী সহকারী শিক্ষক জানিয়েছে, সরকার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে। কিন্তু হাতিয়ার শিক্ষা অফিস ও কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তা অনেকটা ভেস্তে যাচ্ছে। কর্মকর্তা টাকা নীতিতে বিশ্বাসী। শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলেই কারণে-অকারণে, অনেক সময় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে শোকজসহ হয়রানি করা হয়। নারীদের সঙ্গেও আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ করে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.আকবরকে একাধিক মুঠো ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে আসেনি। অভিযোগটি পেলে তদন্ত করা হবে। সত্যতা প্রমাণ হলেই অপরাধীর বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।