তপন দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি -ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় মৌজা গোমনাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্রেঞ্চের চাহিদা অপূর্ণই থেকে গেলো। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় ৩নং গোমনাতী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত অবহেলিত বিদ্যালয়টি।
১৯৯৪ সালে স্থাপিত মৌজা গোমনাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিনসেট দিয়ে নির্মাণ করা হয়।
অবহেলিত মৌজা গোমনাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ হয় গত ২০১৮ নির্মাণ হয় ভবন বুঝে পায় ২০১৯ সালে।
বিদ্যালয়টিতে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯০ জন ও শিক্ষক শিক্ষিকা ৪ জন স্টাফ। শুন্য পদ ১ জন।
জমির পরিমাপ ৩৩ শতক জমিদাতা মৃত আব্দুল হান্নান (কাটু মিয়া) সাবেক চেয়ারম্যান ৩নং গোমনাতী ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রাক প্রাথমিক ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৩২ জন স্কুল ব্রেঞ্চ নেই।
প্রথম শ্রেণিতে ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী স্কুল ব্রেঞ্চ নেই।
দ্বিতীয় শ্রেণিতে ছাত্র ছাত্রী ২৫ জন স্কুল ব্রেঞ্চ সংখ্যা নেই।
তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৯ জন ছাত্র ছাত্রী স্কুল ব্রেঞ্চ নেই।
চতুর্থ শ্রেণিতে ২৭ ছাত্র ছাত্রী স্কুল ব্রেঞ্চ নেই।
পঞ্চম শ্রেণিতে স্কুল ছাত্র ছাত্রী ২৭ জন ব্রেঞ্চ সংখ্যা ৫ টি হাই বেঞ্চ (টেবিল) ও ৫ টি বসার বেঞ্চ। মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৯০ জন।
প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহার সুইটি জানান দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা নষ্ট হওয়া স্কুল ব্রেঞ্চ গুলোতে ক্লাস নিয়ে আসছি কিন্তু করোনা মহামারি সংক্রান্ত কভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের জন্য প্রায় ২ বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল ব্রেঞ্চে পোকামাকড় ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্কুল ব্রেঞ্চ গুলো। আমাদের আরো অনেক অনেক স্কুল ব্রেঞ্চের চাহিদা অপূর্ণ থেকে গেলো। আমি খুব চিন্তিত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুললে আমি ক্লাস নিব কি ভাবে। আমার স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ১৯০ জন কিন্তু ৫টি হাই ব্রেঞ্চ ও ৫ টি সিট বেঞ্চ। মৌজা গোমনাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়ালের খুব প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
রাস্তার পাশেই স্কুল রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক গাড়ি সাইকেল ভ্যান ট্রাক্টর চলাচল করে বাচ্চারা অনেকটাই ঝুঁকিতে হয়েছেন বলে জানান।
সাবেক সভাপতি আহমেদ ফয়সাল (শুভ) জানান বাউন্ডারি ওয়াল এবং স্কুলে বেঞ্চ জরুরি প্রয়োজন হয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি আমাকে জানাননি, আমরা আগামীতে ব্যবস্থা নিব।