ডেক্স রিপোর্টঃ গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন এসেছেন-এই প্রশ্নে সোহেল তাজ বলেন, “আমি প্রথমেই বলতে চাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও জোহরা তাজউদ্দীনের সন্তান আমি। আমি রাজনীতিবিদ হিসেবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, দুইবার সংসদ সদস্য ছিলাম। এখন আমি একজন সাধারণ নাগরিক।
“আমি আজকে ডিবি অফিসে এসেছি, কারণ আমি বাংলাদেশের সকল মানুষের মত এখন এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করছি।”
তাজউদ্দিন পুত্র বলেন, “আমরা জানি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম এমন একটি বাংলাদেশের জন্য যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, যেখানে মেধা দিয়েই যোগ্যতা যাচাই হবে। সেই সোনার বাংলাদেশে গরিব-ধনী সকলের জন্য মৌলিক অধিকার থাকবে, বাক স্বাধীনতা থাকবে, চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে।
“আজকে আমি মনে করছি আমাদের সকলেরই এই অধিকারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
ছাত্র আন্দোলনে প্রাণহানির তুলনায় সম্পদহানি ‘কিছুই না’ মন্তব্য করে সোহেল তাজ বলেন, “সম্পদের এই যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় করা হয়েছে। এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো হয়ত ভবিষ্যতে আমরাই আবার গড়ে নেব। কিন্তু যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের একটি প্রাণও কি ফেরত পাব? এই প্রাণ কি ফিরে আসবে?
“আমাদের মনে রাখতে হবে মুখ্য জিনিসটা কী। প্রাণের মূল্য কিন্তু কোটি কোটি কোটি টাকার থেকেও অনেক বেশি, এটা অমূল্য।”
ভবিষ্যতে গুলি করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ করে তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের, আমাদের সেনাবাহিনীকে, আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের বুকে যেন আরেকটা গুলি না যায়।
“আপনারা বিরত থাকুন, এটা ঠিক না।”
শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।