গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বেনজীরের বিরুদ্ধে ২ মামলার
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দুটি মামলা করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। এর একটি হলো অবৈধ সম্পদ অর্জন, আরেকটি অর্থপাচার। ইতোমধ্যে তার বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পদের (বাড়ি-গাড়ি, জমি-জমা, রিসোর্ট-খামার) তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠিয়ে সরিয়ে ফেলারও প্রমাণ পেয়েছে দুদকের তদন্তকারী দল।
প্রতিদিনই আসছে নতুন তথ্য। সেগুলো যাচাই শেষে চূড়ান্ত করে রাখা হচ্ছে অনুসন্ধান নথিতে। অনুসন্ধানকাজ চলছে দুই ভাগে। একটি নথিতে থাকছে স্থাবর সম্পদের হিসাব, অপরটিতে রাখা হচ্ছে ব্যাংক-ব্যালেন্স ও টাকা-পয়সার তথ্য। গত ১৮ এপ্রিল এ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের বিধি-বিধান অনুযায়ী, ৪৫ কর্ম দিবসের মধ্যে এই অনুসন্ধান শেষ হওয়ার কথা। অনুসন্ধান কর্মকর্তারা চাইলে আরও ১৫ কর্ম দিবস বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ফলে ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিন ধার্য আছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও আগামী রবিবার। ইতোমধ্যে তার দুদকে হাজির হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি বিদেশে গেছেন এ ব্যাপারে দুদকের কাছে যথাযথ তথ্য নাই। তাই, তার হাজিরা নিয়ে ভাবছেন না দুদক কর্মকর্তারা। নির্ধারিত দিনে তারা হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করলে ১৫ দিন সময় পাবেন। আবেদন না করলে সময় পাবেন না। ধরে নেওয়া হবে তার কোনো বক্তব্য নাই।