আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ইতমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থেকে ভোটারদের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আবারো
জাহাঙ্গীর আলমের ওপরেই আস্থা রেখে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
স্থানীয়রা এবারের নির্বাচনকে এমপি অনুসারী ও বিরোধী লড়াই বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমপি অনুসারী হিসেবে ভোটে লড়ছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।অন্যদিকে এমপি বিরোধী হিসেবে মাঠে রয়েছেন রবিউল বাবু এবং বেলাল উদ্দিন সোহেল বলে মনে করছে নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। কাজেই সরকারী দল তথা স্থানীয়
সাংসদের (অলিখিত) সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। ফলে গোদাগাড়ী উপজেলার মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকারী দলের (অলিখিত) সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় চাই।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের বোধদয় এমপি অনুসারী প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অপরদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অভিমান বা মোহের বসে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। তারা সেই ভুল অনুধাবন করে এখন অনুতপ্ত। এবার তারা শপথ নিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে এমপি অনুসারী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে তারা তাদের সেই ভুল শোধরাতে চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আদর্শিক, পরিক্ষিত, জন ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংসিত। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবারো বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর উন্নয়নে মহা- পরিকল্পনা গ্রহন করেন। স্থানীয় সাংসদের সার্বিক সহযোগিতায় গৃহীত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক সেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন জনগণ। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীন উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, কালভাট, ব্রীজ স্কুল,মাদ্রাসা,কবরস্থান, মসজিদ ,ঈদগা মাঠ সংস্কার করেছেন। অসহায় গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ইত্যাদি বিতরণ কার্যক্রম দেখভাল করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন।অন্যদিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম আদালত কার্যক্রম তিনি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। আগামী দিনে তিনি তার সততা ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে উপজেলা বাসীকে সেবা দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান।