রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুরের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের (ইউপি) নাকৈল গ্রামে ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন ও সরকারি পাকা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বাণিজের
অভিযোগ উঠেছে। ঢ়এদিকে ভেকু মেশিন (মাটিকাটা যন্ত্র) ও অবৈধ ট্রাক্টরের বিকট শব্দে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ট্রাক্টরে মাটি বহনের সময় কাঁদা মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তা নষ্ট ও ধুলাবালিতে পরিবেশ দুষণে বাসা বাড়িতে থাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নাকৈল গ্রামের আব্দুর রহিম প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত গ্রামবাসির বাধা উপেক্ষা ও প্রভাববিস্তার করে জোরপুর্বক পুকুরের কাদামাটি পরিবহন করে সরকারি কাঁচাপাকা রাস্তা নষ্ট, পরিবেশ দুষণ ও অবৈধভাবে ফসলি জমি ভরাট করছেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো পুরাতন পুকুর খনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়। সেখানেও বলা থাকে পুকুর খননের মাটি যেনো কোনো পাকা বা কাঁচা রাস্তায় না উঠে। অথচ এসব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে মাটি বানিজ্যে করছে ভেকু দালাল। কিন্ত্ত বিষয়টি যেনো দেখার কেউ নাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ভেঁকু দালাল বলেন, পুকুর মালিক সকলকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন, মাটি বিক্রি ও ফসলি জমি ভরাট করছে। তিনি বলেন, মাটি পরিবহন করলে তো রাস্তা নষ্ট হবে, তাই বলে কি মানুষ পুকুর সংস্কার করবে না। তিনি বলেন, রাস্তা নস্ট হলে সরকার ঠিক করবে এখানে সাংবাদিক বা গ্রামের মানুষের সমস্যা কি। তিনি আরো বলেন, কোথাও কি পুকুর খনন বা মাটি বিক্রি বন্ধ আছে, টাকা খরচ করলে সব হয়। এবিষয়ে পুকুর মালিক পরিচয় দিয়ে আব্দুর রহিম বলেন, তারা সরকারি দলের লোক তাদের হাতে অনেক নেতা আছে, বিষয়টি তারা দেখবেন, রাস্তা নস্ট হলে ঠিক করে দেয়া হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, চৌকিদার পাঠিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করা হবে।