মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শহরের শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১৫টি দোকান ও এতে থাকা সব মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়াও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, শাপলা মার্কেটে প্রেস, কম্পিউটার, পোশাক ও সেলাই মেশিনের দোকান রয়েছে। মূলত পোশাকের দোকানসহ ১৫টি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ এসব দোকানে দেড় কোটি টাকার পরে মালামাল ছিল। ঈদের আগে এই আগুনে ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছেন।
মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, ঈদের জন্য দোকানে প্রায় ১৪ লাখ টাকার গেঞ্জি প্যান্ট ছিল সব পুড়ে গেছে ।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে ৭ টি ছাপাখানা ব্যবসায়ীর বলে জানান আলআমিন নামে ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, আমার দোকানে চারটা কম্পিউটারসহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল ছিল। সোয়া আটটার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি কিছুই নেই।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন,‘সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে আমরা শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পেয়ে প্রথমে সদরের ৫টি এবং পরে কাহালুর ২টি ও শাজাহানপুরের ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়৷ প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে৷ তবে কী কারণে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে কাপড়ের দোকান থেকে আগুন ধরেছে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ড ১৫ টা দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতির পরিমাণ জানানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে গিয়ে নূরজাত নামে আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।