তানোর (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত ও অচেনা নতুন মূখের আগমণ ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, এরা স্থানীয় বাসিন্দা বা এলাকার কোনো ভোটার না, তাদের কেউ কোনদিন দেখেননি। তাহলে কেনো তারা ভোটের মাঠে, কেনো এমন লম্প-ঝম্প-?
এদের বেশ ভুষা, শারীরিক-মৌখিক ভাষা ও চোখের চাহনি অস্বাভাবিক। নির্বাচনী প্রচারণার অন্তিম মুহুর্তে হঠাৎ করেই বহিরাগত অচেনা নতুন মুখের আগমণে
সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মাঝে অজানা আতঙ্কের সুত্রপাত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনের মাঠে কতিপয় প্রার্থীর সঙ্গে এসব অচেনা বহিরাগত নতুন মূখের গভীর সখ্যতা লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি তারা সাধারণ ভোটারদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ভোট চাইছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, দিনের আলোয় তাদের তেমন বিচরণ চোখে পড়ে না। তবে রাঁতের আঁধারে তারা দলবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোটারদের মনে প্রশ্ন উঠেছে ওরা কারা ? কোথা থেকেএসেছে ? ভোটের মাঠে হঠাৎ তাদের আগমণের উদ্দেশ্যে কি ? তাদের নেপথ্যে রয়েছে কারা ? ইত্যাদি কারণে উঠেছে সমালেচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন।
স্থানীয়রা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী প্রশাসনের চিরুনি অভিযান শুরুর পর হঠাৎ করে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত ও অচেনা-অজানা নতুন মুখের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা আইনশৃ্ঋংলা রক্ষা বাহিনীর চিরুনী অভিযান এড়িয়ে এসব অচেনা নতুন মূখ গা-ঢাকা দেয়ার জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এই নির্বাচনী এলাকা বেছে নিতে পারেন। কেউ আবার এলাকায় বসবাসকারীদের আত্মীয়তার সুত্র ধরে অবস্থান করছে। সচেতন মহল দ্রুত নির্বাচনী এলাকা বহিরাগত নতুন মুখ মুক্ত চাই। স্থানীয়রা বহিরাগত অচেনা নতুন মুখের আগমণ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।