1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সহকারী শিক্ষকদের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত স্কুলে পাঠদান ব্যহত নেকড়ে আতঙ্কে লালমনিরহাট লামায় জীনামেজু অনাথ আশ্রমে কম্বল বিতরণ করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আটপাড়ার তেলিগাতী বৈদ্যনাথ হরেকৃষ্ণ একাডেমীরবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত গলাচিপা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কার্যক্রম উদ্বোধন শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দুয়ায় ইয়াং স্টার একাডেমী ফুটবল একাডেমীর শুভ উদ্বোধন করেন রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান নেত্রকোণা জেলার সাবেক যুবদলের সভাপতি মরহুম আল আমিন খান পাঠানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পঞ্চগড়ে জেলা জজসহ চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মেঘালয় থেকে আসা ৯০ লাখ টাকার গবাদিপশু চিনির চালান জব্দ খালেদদাদচৌধুরীসাহিত্যপুরস্কারঘোষণা, এবার পুরুস্কার পাচ্ছেন কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ

চা বাগান উপড়ে ফেলে দুধ দিয়ে গোসল

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪২ ০৫ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে বছরের পর বছর চা বাগান থেকে লোকসানের শিকার হয়ে শাহজালাল নামের এক চা চাষী তার সাত বিঘা জমির চা বাগান উপড়ে ফেলে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।

আজ বুধবার তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার তেপুকুরিয়া এলাকায় নিজের তৈরি ১৩ বছরের বাগানের গাছগুলো উপড়ে ফেলে দুধ দিয়ে গোসল করতে শুরু করেন। এ সময় তার শ্রমিক ও স্থানীয়রাও বিস্ময়ের সাথে দেখেন এই দৃশ্য। চা বাগান করাকে পাপ অবহিত করে তিনি তা উপড়ে ফেলে প্রায় ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করে পাপ মোচন করেছেন বলে দাবি করেন।

চা চাষী শাহজালাল জানান, ২০১০ সালে পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার তেপুকুরিয়া এলাকায় নিজের কেনা ৭ বিঘা জমিতে চা বাগান করেন তিনি। শুরুতে লাভ হলেও এরপর চলে পালাক্রমে লোকসান। এ পর্যন্ত তার প্রায় ২০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে চা চাষিদের জিম্মি করে রেখেছে। দিন দিন তাদের ব্যবসা ও পরিধি বাড়লেও চাষিরা গুণছেন লোকসান। প্রতি কেজি চা পাতা উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের খরচ হয় প্রায় ১৮ টাকা। কিন্তু সেই চা পাতা বিক্রি করে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা। তার মধ্য থেকেও আবার ওজন থেকে ২০ থেকে কখনো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিয়ে দেয়া হয় দাম। এভাবে আমরা আর টিকতে পারছি না। প্রশাসন ও চা বোর্ড কোন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই চা কারখানা মালিকদের দৌরাত্ম থেকে মুক্ত হতেই চা বাগান উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। তার এই বাগান করার পাপ হিসেবে দুধ দিয়ে গোসল করলাম।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ