আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের একটানা তিন মেয়াদ ১৫ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ৩৪৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এতে উপকার ভোগীদের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জীবন যাত্রার মান বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ৩৪৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। উপজেলায় বয়স্ক,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী,
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত, দলিত,হরিজন, কামার, কুমার, বেদে ও ভিক্ষুক ভাতা প্রকল্পে ২৪ হাজার ৫০৮ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ১৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও মাতৃত্বকালীন, ল্যাকটেটিং, মা ও শিশু সহায়তাসহ বিবিধ প্রকল্পে ৩৮ হাজার ৮০০ উপকারভোগীর বিপরীতে (১৫ হাজার ৩২৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য) ১১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা প্রকল্পে ৫৫ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অপরদিকে উপজেলায় গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে ১৯টি বাড়ি (২) রুম বিশিষ্ট ১৯ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও মুজিববর্ষে ভুমিহীনদের জমিসহ বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে ৬৪২টি বাড়ি (২) রুম বিশিষ্ট এসব উপকার ভোগীর বিপরীতে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এবং ৬টি মুক্তিযোদ্ধা দিবস উদযাপনে ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বিধবা ভাতা উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার। বিগত ২০০৬ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বয়স্ক ভাতা উপকার ভোগীর সংখ্যা ছিলো ১৬ লাখ। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ এক হাজার।
জানা গেছে, সরকার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর মাধ্যমে তানোর উপজেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে পর্যাপ্ত ভাতা প্রদান চলমান রয়েছে এবং থাকবে। বিগত ২০০৫ সালে প্রতিবন্ধী ও ২০০৭ সালে মাতৃত্বকালীন ভাতা ব্যতিত সকল ভাতা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চালু হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এসব ভাতার অর্থ প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে ভাতা শুবিধার জন্য আবেদনকারী নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আগামিতে দুঃস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গৃহহীন প্রতিটি নাগরিকের ঠিকানা নিশ্চিত করতে প্রকল্পগুলো চরমান রয়েছে এবং থাকবে।
অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এধরণের প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। এখন প্রশ্ন হলো যে জাতি উপকারীর উপকার শিকার করে না,তারা অকৃতজ্ঞ। আর অকৃতজ্ঞদের ধ্বংস অনিবার্য। সচেতন মহলের অভিমত, আওয়ামী লীগ সরকারের উপকার শিকার ও কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা এসব মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।