মোঃ আবু সুফিয়ান শান্তি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন মাৎস্য চাষী সফর করলেন কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় বলুহর মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। এ সময় তারা মাছ চাষ ও ফিস হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের উপর করেন ব্যবহারিত ক্লাস, প্রশিক্ষন নেন হাতে – কলমে। হ্যাচারি কমপ্লেক্সে আসতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন ওই মাছচাষীরা। জানা যায়, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) এর আওতায় মৎস্যচাষি সুফলভোগীদের জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি ভিত্তিক মাছ চাষ প্রশিক্ষণের মাঠ সফর করেন তারা।
আজ (১০ই ডিসেম্বর) রবিবার দুপুরে বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীতে জেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয় যশোরের আয়োজনে মাঠ সফর করা হয়।
মাছচাষী গৌতম দেবনাথ ও জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ৪টি মৎস্য হ্যাচারীর ভিতর এটি কেন্দ্রীয় মংস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। মাছ চাষে আসার পর এ হ্যাচারীর গল্প শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম।
সব কিছু দেখে অনেক ভাল লাগলো। এখানে এসে কি শিখলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এতদিন আমরা কোন পরিকল্পনা ছাড়াই মাছচাষ করেছি। এখন হাতে কলমে শেখার জন্য আসলাম। এখানে এসে জানতে পারলাম, মেল আর ফিমেল মাছ চেনার উপায়।
মাছ থেকে কিভাবে ডিম সংগ্রহ করতে হয়। সেই ডিম থেকে কিভাবে রেনু হয়। আর কিভাবে রেনু গুলো বাজার জাত করা হয়। তারা বলেন, দিনশেষে আজকের দিনটা সারা জীবনের জন্য মনে রাখার মত একটা স্বরণীয় দিন। এ ছাড়া হ্যাচারির ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলামের প্রশিক্ষনের গঠন মূলক ধরন, তার দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা আমাদের মুগ্ধ করেছে।
চোখ খুলে দিয়েছেন সামনে দিনে এগিয়ে যাবার। তারা আরো বলেন, আমরা আরো বেশি খুশি হয়েছি আশরাফ-উল-ইসলাম কে দেখে। কারণ তিনি আমাদের এলাকায়রি সন্তান এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। উনি এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে বিরাট সাফল্য দেখাচ্ছে। লক্ষ্য মাত্র পুরোন অব্যাহত রেখেছেন। তার সাফল্য দেখে ছাত্র জীবনে থাকলে ফিশারিজে পড়াতাম। এখানে এসে অনেক কিছু শিখলাম।
হাতে কলমে শিক্ষা ও নিজেদের মেধা কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বড়ো উদ্দোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন বলে জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য অফিসার যশোর মুহাম্মাদ রফিকুল আলম, সহকারী পরিচালকজেলা মৎস্য দপ্তর যশোর আবুল হাসান, ফিসারিজ কোয়ারান্টাইন অফিসার বেনাপোল স্থলবন্দর মাহবুবুর রহমান, কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারির ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার, রমজান আলী সহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ও হ্যাচারি কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।