আসাদুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জঃ ২৯গাইবান্ধা -১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আওয়ামী লীগের আলোকচিত্র পরিস্ফূট করার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আনন্দ গ্ৰুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী।
প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন মিসেস আফরুজা বারী। নৌকার মাঝি হয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে চান তিনি। ১৯৫৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আফরুজা। তার মরহুম পিতা আশরাফ আলী মাস্টার আজীবন সভাপতি ও মাতা আলতাফুন্নেছা আজীবন উপজেলা আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা ছিলেন। ২০১২ সালে আ’লীগের সদস্য কুপন সংগ্রহ করে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন আফরুজা। বিএ অনার্স পাশের পর ইউকে থেকে অর্থনীতি ও হিসাব বিভাগের উপর কারিগরি যোগ্যাতা অর্জন করেন। এরপর ব্যবসায় নেমে পড়েন। বর্তমানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যেক্তা। জাতীয় রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১০ সালে জাতীয় রপ্তানী ট্রফি (স্বর্ণ) গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে। শিল্প উদ্যেক্তা হিসেবে অনন্যা শীর্ষ দশ অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ লাভ করেন। এছাড়া নৌ সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখায় সরকার কর্তৃক ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ডে অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ অর্জনসহ অনেক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ২০১৬ সালে তার ছোট ভাই এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার পর আ’লীগের রাজনীতিতে তিনি আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
আফরুজা বারী একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মেহনতি মানুষের পাসে দাড়িয়ে নিরলসভাবে জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন এই নেত্রী। আর তার সেবা ও ভালোবাসায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলাবাসী অনেকটাই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নেতাকর্মীরাও হয়েছেন উজ্জীবিত। ঢাকা ইডেন কলেজের একসময়ের ছাত্রলীগের তুখোর মেধাবী ছাত্রী তিনি। এবারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এমপি হিসাবে দেখতে চায় উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ ও নেতাকর্মীরা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকেই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবে বলে জানায় উপজেলাবাসী। উপজেলাবাসি আরো বলেন তিনি নির্বাচিত হলে সুন্দরগঞ্জের উন্নয়ন ও জনগনের আকাঙ্খাও পূরণ হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এখনো অনেক উন্নয়ন বাকি আছে। আর এই উন্নয়নকে গতিশীল করতে এবং সুন্দর পরিচ্ছন্ন মডেল সুন্দরগঞ্জ করতে মিসেস আফরুজা বারীর বিকল্প নেই। মিসেস আফরুজা বারী খুবই সৎ এবং যোগ্য ব্যক্তি। তাকে এমপি হিসেবে পেলে উপজেলা বাসির উন্নয়ন গতিশীল হবে। মিসেস আফরুজা বারী মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় সহযোগিতা করে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা মিসেস আফরুজা বারীকেই দেখতে চাই।
আফরুজা বারী বলেন,আমি আমার মাতৃতুল্য নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইব। আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এই আসনে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। সেই সাথে আরও বলেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দুর্নীতি টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি, চাকরি বানিজ্য,ওঅনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা, বহিরাগত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে দল এবং সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীরা মূল্যায়িত হবে। তিনি আরও বলেন অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেয়েছি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে আছি থাকবো।আমাকে সুন্দরগঞ্জ বাসি সুযোগ দিলে আমি সুন্দরগঞ্জে রাস্তা ঘাট করবো ফরেন ইনভেস্টরস এনে মিল ফ্যাক্টরি করবো যাতে আমার বেকার যুবক ভাই বোনেরা কাজ করে মাসে ১৫/২০হাজার টাকা উপার্জন করতে পারে মান সম্মত জীবন পায়। আমি টিকসই সমাধান চাই। আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর আশা ব্যক্ত করেন মিসেস আফরুজা বারী।