1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহীতে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি রাজশাহীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসতবাড়ি দখল ও প্রতিমা ভাঙচুরে আলতাব গ্রেফতার রাজশাহীতে দিন মুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী। মুন্সীগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান বিদায়ী আবুজাফর রিপন বিপিএএ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হােসেন রবিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আনীত অভিযােগ মিথ্যা প্রমানিত পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে সড়কে শুয়ে চা চাষীদের বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মুন্সীগঞ্জে আলোচিত জিল্লুর হত্যার দীর্ঘদিন পলাতক আসামি সম্পদ কারাগারে রাজশাহীতে আন্দোলনকারীদের উপর হাম’লা ও ছাত্রীকে ধর্ষ’ণের পর হ’ত্যার অভিযোগে, তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আ’টক

ছোট্ট ‘জীবনের’ চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন রংপুরের এসপি বিপ্লব কুমার সরকার।

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১
  • ৩২৯ ০৫ বার পঠিত

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধি -ঃ সারাদিন হাসি-দুষ্টুমিতে পাড়া মাতিয়ে রাখা ১০ বছরের ছোট্ট মাহমুদুল হাসান জীবন। হঠাৎ সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় তার একটি হাত। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার নির্ভত পল্লীতে দরিদ্র বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করান স্থানীয় কবিরাজের কাছে। কিন্ত ভাল হওয়ার বদলে পচন শুরু হয় হাতে। সেই পচন এখন ছড়াতে শুরু করেছে শরীওে বিভিন্ন অন্দ্রে।দরিদ্র পিতার ছোট্ট সন্তানটির জীবনের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মানবিক এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার জানান,স্থানীয় কবিরাজের চিকিৎসায় ভাল না হওয়ায় স্থানীয় স্কুলের নৈশপ্রহরী তার দাদা বিভিন্ন লোকের কাছে হাত পেতে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করান। কিন্তু ততদিনে হাতে পচন ধরে গেছে। সেই পচন ছড়িয়ে যাচ্ছে পুরো শরিরে।কিছুদিন চিকিৎসা করানোর পর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে একসময় চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়িতে নিয়ে যায় জীবনকে ।
এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের ডেকে পাঠান জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম। জীবন ও তার দাদার কাছে বিস্তারিত শুনে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।এ সময় জীবনের চিকিৎসার সকল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। এসময় তিনি ছোট্ট জীবনের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সাহস দেন। স্নেহ ও ভালােবাসায় সে আবারও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে, নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখে। এই আন্তরিকতা আর ভালোবাসা দেখে জীবনের দাদু আনন্দে কেদে ফেলেন। এসময় জীবন ও তার দাদুর আনন্দ দেখে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ