মোঃ আবু সুফিয়ান শান্তি ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি -ঃ ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন কাগমারী গ্রমের মন্ডলপাড়ার মোঃ সাব্বির হোসেন (২২) নামের বাড়িতে মেহেরপুর থানা কুতুবপুর গ্রামের একটি (১৬) নামের মেয়ে বিয়ের দাবিতে সাব্বির হোসেন এর বাড়িতে অবস্থান করেছে বলে জানা গেছে।
(২০ ই আগষ্ট) শুক্রবার ভোর পাঁচ টার সময় বাড়ি থেকে রওনা দেন মেয়েটি বেলা (১০ টা ৩০)মিনিটে সাব্বির হোসেনের বাড়িতে ওঠে মেয়েটি,বাড়িতে থাকা সাব্বিরের ভাই ও মা তাকে বাড়ি থেকে মারধোর করে বাড়ি থেকে ঘাড় ধরে রাস্তায় বের করে দেয়,সারাদিন মেয়েটি রাস্তায় বসে থাকে।
মেয়েটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে অনেক লোকজনের মাঝে,মেয়েটির কাছে জানতে চাইলে মেয়েটি বলেন আমি এর আগে এই বাড়িতে ২/৩ বার এসেছি আমি কোনো বিচার পাইনি।
এবার আমি এসেছি শেষ বিচারের দাবিতে।গেলো রোজার ঈদের পরের দিন সাব্বির হোসেন ও সাথে থাকা ওর আর এক বন্ধু মিলে আমাকে কোটচাঁদপুরের পাশে একটি গ্রামে নিয়ে যায়,কিন্ত আমি চিনি না,সাথে থাকা বন্ধুর মাওই এর বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে আমাকে সারারাত ভোগ করে মোঃ সাব্বির হোসেন পিতা মোঃ আব্দুল গনি সাং কাগমারী মন্ডল পাড়া থানা কোটচাঁদপুর জেলা ঝিনাইদহ,পরের দিন আমাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়,মেয়েটির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সাব্বির হোসেন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার প্রতারণা ও সর্বনাশ করে আসছে।
আমি সাব্বির হোসেন কেই বিয়ে করবো আমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।স্থানীয় কিছু মাতব্বর মেম্বারসহ জনসাধারণের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন সাব্বির বাড়ি থেকে পালাতক মেয়েটিকে একটা সু ব্যবস্হা করে দেওয়া হোক।
মেয়েটি আরও বলেন মেম্বার বিষয় টি জানে,আমি এর আগে কয়েক বার এসেছি আমার কেউ সঠিক বিচার করে দেই নি,বিষয়টি বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা মতো মেয়েটিকে তার নিজের ফোন দিয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কথা বলতে বলা হয়,সাথে সাথে ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল এসে তাকে নিয়ে যায়,মেয়েটি এখন পর্যন্ত থানা হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেয়েটি থানা হেফাজতে আছে মেয়েটির গার্জিয়ান পক্ষ আসছে ও আসামী সাব্বিরের বিষয়ে তদন্ত চলছে,অপরাধ করলে কেউ ছাড় পাবে না,সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।