বিশেষ সংবাদদাতা -ঃ- বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গল্প-কবিতা লিখে প্রধানমন্ত্রীকে না দিতে পেরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ককটেল সদৃশ বস্তু ফাটিয়েছে দুই যুবক। এই ঘটনায় ওই দু’জনকে আটক করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুল হালিম (২৯) ও হালিম রাজ (৩৪)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ভাইরাল হতেই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শান্তু রেস্টুরেন্টের সামনে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, হালিম রাজ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে গল্প-কবিতা লেখেন। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেও দিতে পারেনি। অবশেষে কিশোর নামে এক ব্যক্তিকে ৩৫ হাজার টাকা দেন। তিনিও গল্প-কবিতা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে পারেনি। এ জন্য তারা দু’জনে বুদ্ধি করে ভাইরাল হতে বারুদ দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
ওসি বলেন, ‘এগুলো ককটেল নয়। ভেতরে কোনো স্প্লিন্টার ছিল না। কিছু বারুদ ছিল। দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, হালিম রাজের বাড়ি ময়মনসিংহ। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছোট থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখেন। তার বন্ধু আব্দুল হালিম ঢাকায় থাকেন। তিনি একজন ইউটিউবার। হালিম রাজ তার কবিতা প্রকাশের জন্য আব্দুল হালিমের কাছে ঢাকায় আসেন। এর পর হালিম রাজ সবকিছু আব্দুল হালিমকে দেখান। তাকে কবিতা প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেন। এরপর আব্দুল হালিম রাজকে আশ্বস্ত করে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে।
পুলিশ আরও জানায়, গত বছর শেখ রাসেলের সহপাঠী কিশোরের কাছে তারা দু’জনে যায়। তাদের সঙ্গে কিশোর ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। তারা কিশোরকে ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এক বছরে রাজের কোনো কবিতা প্রকাশ পায়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়। এরপর ইউটিউব ঘেটে তারা চকলেট বোম বানানো শেখেন। ম্যাচের বারুদ দিয়ে চকলেট বোম বানায় পাঁচটি। পরে রোববার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তারা শান্তু রেস্টুরেন্টের সামনে একটি চকলেট বোমা ফাটায়। এরপর পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশ সেখান থেকে ১০টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে।
গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যায়, প্রথমে তারা গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ডিউটিরত পুলিশ তাদের আটক করে। বোমা শনাক্তের জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।