মিরু হাসান, ষ্টাফ রিপোর্টার -ঃ- বগুড়ার আদমদীঘিতে দাবী করা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া এবং অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের শিয়ালসন গ্রামে। জানাযাশ, উপজেলা সদর ইউনিয়নের শিয়ালসন গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মকছেদ আলীর সাথে, পাশের জিনইর গ্রামের হেলাল হোসেনের মেয়ে রিতা বানুর বিয়ে হয় ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।
তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এমন অবস্থায় ব্যবসা করার কথা বলে মকছেদ আলী তার স্ত্রীরিতা বানুর নিকট দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।
রিতা বানু যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্বামী মকছেদ আলী। সে তার স্ত্রী রিতা বানু কে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করা শুরু করে। নির্যাতন করার এক পর্যায়ে স্বামী মকছেদ আলী এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। দিশেহারা নির্যাতিত গৃহবধু রিতা বানু অবশেষে মা-ভাইয়ের নিকট আশ্রয় নেয়। এরপর রিতা বানুর দরীদ্র মা ও ভাই যৌতুক ছাড়াই স্বামী সংসারে ফেরত দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা করে।
কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে, প্রথম স্ত্রী রিতা বানুর অনুপস্থিতির সুযোগে মকছেদ আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে। সম্প্রতি বিষয়টি জানার পর নির্যাতিত ও বিতারিত রিতা বানু আদালতের শরনাপন্ন হয়। তিনি স্বামী ও সতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালত বাদিনীর আরজি আমলে নেয় এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারি অফিসার আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে মকছেদ আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কি না সেটা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।