মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি -ঃ- দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের সীমান্ত পারাপারে হাতের পরিবর্তে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হলেও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর তা থেকে ছিল পিছিয়ে। শুরু থেকেই কাস্টম কর্তৃপক্ষ হাত দিয়ে ব্যাগ পরীক্ষা করায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো যাত্রীদের।
একই সাথে প্যাকিং করা ব্যাগে পোহাতো হতো দূর্ভোগ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বন্দরের ইমিগ্রেসন ব্যবস্থার সাথে ডিজিটাল সেবা যুক্ত করে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করায় অবশেষে দূর্ভোগ কমেছে পাসপোর্ট যাত্রীদের। এতে করে সময় রক্ষার পাশাপাশি ও নারীদের একান্ত গোপনীয়তাও রক্ষা পাচ্ছে বলে বলছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেসন ও কাস্টম ভবন ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
মনজুর হোসেন নামে এক পাসপোর্টধারী যাত্রী বলেন, ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করায় আমাদের সময় ও দূর্ভোগ অনেকটাই কমেছে।
ভারতের আসামের বাসিন্দা শিক্ষার্থী মেহেজাবিন সময় সংবাদকে বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। একসময় বাংলাবান্ধায় ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হতো। কারণ আমাদের নারীদের ব্যাগ তল্লাশিতে লজ্জায় পড়তে হতো। কারণ আমাদের অনেক গোপনীয়তা রয়েছে।
একই কথা জানান সুলতানা পারভিন নামে আরেক নারী। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ডিজিটাল এই সেবা নারীদের অনেক উপকারে আসছে। কারণ পুরুষরা ব্যাগে হাত না দিয়ে মেশিনে দ্রুত তল্লাশি করতে পারছে।
বহুল প্রতিক্ষার পর দেশের সড়ক পথের একমাত্র চতুদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষায় চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীক সংগঠন গুলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি- রফতানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই খুদা মিলন বলেন, বন্দরে এ ডিজিটাল সেবা যুক্ত হওয়ায় অনেকটাই এগিয়ে যাবে এ বন্দর। কারণ এতে মানুষের হয়রানী কমে আসার পাশাপাশি সময়ও কম লাগছে।
বন্দরের ইমিগ্রেসন ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ব্যাগে কি রয়েছে তা মুহূর্তের মধ্যে কাস্টম কর্তৃপক্ষ জানতে পারছে।
বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দেশের চোরাচালান প্রতিরোধ করতে ও রাজস্ব সুরক্ষায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিনটি স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা অবৈধ মালামাল আমরা দ্রুত শনাক্ত করতে পারছি।
ডিজিটাল সেবা নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিনটি বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনে স্থাপন করা হয়। একই সময় ইমিগ্রেসন ভবনে পাসপোর্ট চেকিং পয়েন্টে বসানো হয় ই-পাসপোর্ট গেইট। বর্তমানে ই-গেইট সেবা চালু না থাকলেও জুলাই মাসে তা উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে জানায় ইমিগ্রেসন কর্তৃপক্ষ।