মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি -ঃ- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ইটভাটার সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে মেশিনে জ্বালানি ও মাটির ব্যবহার ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ইট।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভজনপুর সেন্টার নামক এলাকায় পরিবেশ বান্ধব এই ইট কারখানা গড়ে তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম। আর তা পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।
পরিবেশবান্ধব ও জমির মূল্যবান মাটি নষ্ট না করেই জার্মান প্রযুক্তিতে আগুনে না পুড়িয়ে, পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে অত্যাধুনিক ব্লক ইট তৈরি করছে তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ছোটট একটি কারখানায় শ্রমিকরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশে স্তূপ করা পাথর, সিমেন্ট, সিলেক্সন বালি, একং ডাস্ট ও ক্যামিকেল ট্রলিতে এনে হপারে ঢেলে দেন। পরে মিক্সার মেশিনে অন্যান্য উপকরণ মিশ্রিত করে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে ভাইব্রো মাল্টি ক্যাভিটি মোল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই ইট।
মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি সারিভাবে মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ইট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইটের চেয়ে টেকসই, শক্তিশালী কংক্রিট এই ইট। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় দিন দিন মানুষ এই ইটের প্রতি ঝুকছে। এ অত্যাধুনিক ইট কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে।
দেশ বিদেশে এই ইট তৈরি দেখে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে এসিবি আদর্শ কংক্রিট ব্রিকস এর উদ্যোক্তা আলজাজ্ব রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা দবিরুল ইসলাম বলেন, অনেকটাই মানসম্মত এই কংক্রিট ইট। এমন একটি অঞ্চলে এই ধরণের ইট তৈরি হওয়ায় ঘর- বাড়ি নির্মাণে মানুষের অনেকটাই উপকারে এসেছে।
আমিরুল নামে আরেক জন বলেন, আমাদের তেঁতুলিয়ায় ইট তৈরি না হওয়ায় পঞ্চগড়ে গিয়ে ইট ক্রয় করতে হতো। তবে মানসম্মত ইট পেতে অনেক ব্যয় হতো। এখন নিজ এলাকায় ইট কারখানা হওয়ায় অনেকটাই কম খরচে আমরা তা প্রয়োজনে নিতে পারছি। এতে আমাদের অনেকটাই খরচ কমে এসেছে।
উদ্যোক্তা আলজাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই ইটে ভবন নির্মাণ করলে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় সাশ্রয়ী হবে; যা সচরাচর মাটি দিয়ে তৈরি ইটে সম্ভব না। পরিবেশ বান্ধব এই কংক্রিট ব্রিকস ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগ সহনীয়, সর্বোপরি ব্যয় সাশ্রয়ী। এসিবি আদর্শ কংক্রিট ব্রিকস এর কারখানায় প্রতিদিন ৩ হাজার কংক্রিটের ইট তৈরি হয়। আর প্রতিপিছ উৎপাদন খরচ ১০ টাকা হয়। আর তা বাচারে ১১টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি ভাবে যদি সহায়তা পাওয়া যায় তবে এই কারখানা বড় করে আমরা আরো মানসম্মত কংক্রিট ইট তৈরি করতে পারবো।