বিশেষ সংবাদদাতা -ঃ- চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মোহনপুর ইউনিয়নে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মী সম্মেলনে যাওয়ার সময় বিশেষ বাহিনীর ইন্দনে রাজাকার কাজী মিজানের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। স্হানীয়দের মতে হামলার কারণ মায়া চৌধুরীর কর্মী সমর্থকদের ভীত সন্ত্রস্থ করা এবং আধিপত্য বিস্তার। বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নামের এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তার ছেলে ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫) গুরুতর আহত হওয়ায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে। আহত ইমরান তার ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে।
শনিবার বিকাল ৩টায় বাহাদুরপুরে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয় তিনজন। পরে এদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুইটি পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে গুরুতর আহত ইমরান বেপারী ও জহির কবিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আরো অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।
নিহত মোবারক হোসেন বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু জানান, মোহনপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় আমার ভাইসহ লোকজন বাহাদুরপুর থেকে যাওয়ার পথে রাজ্জাক প্রধান’সহ তার লোকজন আক্রমন করে গুলিবর্ষন করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ জানান, রোগীকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সাথে সাথেই রোগী মারা গেছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন বলেন, হাসপাতালে নেয়া হলে এক যুবক নিহত হয়। অপর একজন আহতের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে।