মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি -ঃ- পঞ্চগড়ে পর্যটন মোটেল নির্মাণ করার কথা জানালেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করতে এসে জেলা সার্কিট হাউজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড় অনেক সুন্দর জায়গা। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। এখানকার মানুষজন অনেক সুন্দর। এখানকার মানুষের ভালোবাসা ও আতিথিয়তা উল্লেখ করার মতো। এখানে নতুন-পুরাতন চা বাগান রয়েছে। পঞ্চগড় এখন চা বাগানের এলাকা। এরপরে আবার মোহনীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত। এ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখানে আসে। আমিও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য এসেছিলাম। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানে এখানে ফাইভ স্টার মানের রিসোর্ট তৈরি করবো। যাতে পর্যটকরা এখানে সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
এ সময় আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মো.নুরুল ইসলামের সুজনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.হান্নান শেখ, জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে বিকেলে ৫টার দিকে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, বাংলাবান্ধায় আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যকার রিট্রিট প্যারেড অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় (১৮ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক, লেঃ কর্ণেল যুবায়েদ হাসান। পরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো পিকনিক কর্ণার এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শনের সময় রেলমন্ত্রী এডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন এখান পর্যটন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চিত্র উপস্থাপন করেন। পরে জেলায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশ কর্তৃক পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।