রাজশাহী প্রতিনিধি -ঃ- রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। যেখানে
লিটনের বিজয় নিশ্চিত করতে রাজশাহী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজশাহী। সেখানে জেলার সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় তানোর।
জানা গেছে, গত ৪মে বৃহস্প্রতিবার তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার ও তালন্দ বাজারে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দেওপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান
আক্তারুজ্জামান আকতার, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সম্পাদক
আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানপ্রমুখ। এদিকে তাদের এই কর্মসুচি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেয়া হয়েছে পৃথক পৃথক। কেউ বলেছে, তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনদরদী নেতা গোলাম রাব্বানীর প্রচারণা, কেউ বলেছে তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, কেউ বলেছে রাসিক সিটি ভোটের প্রচারণা। এখন প্রশ্ন হলো তৃণমুল আওয়ামী লীগ বলে কোনো সংগঠন আছে কি ? আর যদি সিটি নির্বাচনের প্রচারনা হয়, তাহলে এটা সিটি নির্বাচনে কি ভুমিকা রাখবে ? যদি রাখে তাহলে তো প্রতিটি উপজেলায় এমন প্রচারণা করার কথা। এছাড়া এখানে তো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতৃত্ব নাই। আওয়ামী লীগের ভোট কি এদের কথায় হবে ? যদি হয় তাহলে দলের সাংগঠনিক কমিটি রাখার প্রয়োজন আছে কি ?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌকাবিরোধী অবস্থানের কারণে জেলার পদ হারিয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ, ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন আখতারুজ্জামান আখতার, নৌকাবিরোধীতার কারণে পদ বঞ্চিত হয়েছেন গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল আল-মামুন, পৌর নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছেন মেয়র সাইদুর রহমান। এছাড়াও জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে এরা সবাই সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছেন ও ভোট করেছেন। সচেতন মহলের অভিমত কদিন আগে যারা নৌকার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা-গণযোগ করে ভোট চাইলেন। এখন তারা নৌকার পক্ষে ভোট চাইলে কি মানুষ তাদের কথায় নৌকায় ভোট দিবেন ?
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন,
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরীকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের
কোনো প্রার্থীর পক্ষে বিজয়ী হওয়া প্রায় অসম্ভব। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল ফারুক চৌধুরীর এলাকায় গিয়ে সিটি নির্বাচনের নামে প্রচারণা করা হয়। তাহলে ফারুক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকগণ ক্ষুব্ধ হয়ে সিটি নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করবে। কিন্ত্ত তাদের সেই পরিকল্পনা ও স্বপ্ন উবে গেছে। কারণ ফারুক চৌধুরী শহিদ পরিবারের সন্তান ও আদর্শিক নেতৃত্ব তিনি বা তার কোনো কর্মী-সমর্থকগণ কখানো নৌকার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না, সেই ইতিহাস নাই। এদিকে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল তৃণমুল আওয়ামী লীগের নামে এমন কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের কঠোর ভাষায় শতর্ক ও ভৎসনা করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মতবিনিময় করা দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া য়ায়নি। জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুর রহমান মাহাম বলেন,এরা নৌকাবিরোধী তাই এদের কোনো কর্মসুচি আর বলাইয়ের মায়ের গলায় রবিন্দ্র সঙ্গীত একই কথা। তিনি বলেন, যারা দলে নিজের পদ ধরে রাখতে পারে না তারা কতটা জনপ্রিয় নেতা।