মোঃ রেজাউল করিম আলম, পঞ্চগড় প্রতিনিধি -ঃ- পঞ্চগড়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা ধর্মের নামে নারায়ে তাকবির বলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়, তারা ইসলামের শত্রু। তারা ইয়াজিদের উত্তরসূরী।
রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে জেলা শেরে বাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে আওয়ামীলীগের আয়োজিত ‘বিএনপি- জামাতের দেশব্যাপি ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় হযরত মুহাম্মদ (সা.) কখনো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বলেননি। অন্যের ঘরবাড়ি পোড়ানোর কথাও বলেনি। অথচ যারা ধর্মের নামে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ইসলামের শত্রু রাজাকারের উত্তরসূরী।
বিশেষ করে এই ঘটনার পিছনে কাজ করেছে বিএনপি জামাত। কারণ সেদিন স্থানীয় বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীরা ভিতরে ভিতরে উস্কানি দিয়েছে। পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোটরসাইকেল নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
এই ঘটনার আগে শিবির পরিচালিত বাঁশের কেল্লা এবং কাদিয়ানি ঠেকাও নামে ফেসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়। সেই সাথে বিএনপি’র সাবেক সাংসদ হারুন অর রশিদ এবং রুমিন ফারহানার আইডি থেকেও উস্কানি ছড়ানো হয়। মূলত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও দোকানপাঠে হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করে ঘটানো হয়েছে। তাই তাদের প্রতিহত করতে নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের এই শান্তি সমাবেশ চলবে।
এর আগে তিনি বিকেলে তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ফুলতলা শালশিরি এলাকায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা , কাদিয়ানীদের সালানা জলসা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ তবশির চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান মুক্তাসহ আওয়ীমলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।