1. crimeletter24@gmail.com : crimelet_crimelet :
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ অবলম্বন করায় ৯ সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার্থী গ্রেফতার রাজশাহী-১ আসনে নৌকার বিকল্প ভাবছে না ভোটারগণ পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস উদযাপন আফসার বাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমনে ভালুকা মুক্ত দিবস আজ রংপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হারাগাছ সাহিত্য সংসদের ২২ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আয়োডিনযুক্ত লবণের আইন ও সচেতনতার পাশাপাশি কার্যক্রম জোরদার করতে সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ এক প্রাণী ডাক্তার ভুল চিকিৎসায় ১১টি ভেড়া কৃমিনাশক ওষুধ খাইয়া মারা গেল।

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১
  • ২২০ ০৫ বার পঠিত

মোঃ আবু সুফিয়ান শান্তি ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি -ঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক কৃষকের ১১টি ভেড়া কৃমি নাশক ঔষধ খেয়ে মারা গেছে। আরো বেশ কয়েকটি অসুস্থ অবস্থায় কালিগঞ্জ প্রাণী ডাক্তার কৃমির ওষুধ খাইয়ে ১১টি ভেড়া মারা গেছে।  মারা যাওয়া ভেড়া গুলোর আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামে। ভেড়ার মালিক আফজাল হোসেন জানান,তিনি৷ হতদরিদ্র মানুষ। নিজের মাঠে কোনো জমি নেই। 
৩ শতক জমির উপর টিন সেডের এক কক্ষের ঘরে বসবাস করেন। ৫ বছর হলো তিনি এই ভেড়াগুলো বড় করে তুলেছেন। একে একে ৩০টি ভেড়া হয়েছে তার। যার আনুমানিক মুল্য ৬ লাখ টাকা। এগুলোর মধ্যে একটির মুল্য প্রায় ৩৫ হাজার পর্যন্ত রয়েছে,আবার ছোট্রগুলো ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিকৃি হবে।
 গত ৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ভেড়াগুলোকে বড় করে তুলতে। আসা ছিলো আর ৬ লক্ষাধিক টাকা বিকৃি করবেন। আফজাল হোসেন জানান,প্রায়াই তিনি খেযাল করেন ভেড়াগুলোর স্বাবাবিক পায়খানা হচ্ছেনা। এটা দেখে তিনি বুঝতে পারেন এগুলোর শরিরে কৃমি দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গল বার ১৭ই আগষ্ট সকালে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে যান। 
সেখানকার চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করলে তারা কৃমির জন্য ১০০ গ্রাম ওজনের একটি এভিনেকস পাউডারের প্যাকেট দেন জানিয়ে দেন গর্ভবতী ভেড়াগুলোর না খাওয়াতে। এই এক প্যাকেট ঔষধ বাকি ভেড়াগুলোকে খাওয়াতে বলেন। বুধবার সকালে ৬টার সময় তিনি ওই ঔষধের অর্ধকটা পানিতে মিশিয়ে ১৮টি ভেড়ার খাওযাইয়ে দেন। 
ঔষধ খাওয়ানোর পরপরই ছটফট করতে থাকে। আধা ঘন্টার মধ্যেই ভেড়া মারা যেতে শুরু করে। একে একে দুপুর ৩টা পর্যান্ত ১১টা মারা যায়। ঔষধ খাওয়ানো বকি ৭টি ছিলো কাতর অবস্থায় শুয়ে আছে। আশংকা করছেণ এগুলোও মারা যাবে। এই ভেড়াগুলোই ছিলো তার সম্ব্ল। এগুলো মারা গেলে কিভাবে বেচে থাকবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না। 
তিনি আরো জানান,তারা স্বামী-স্তীর কোনো স্তান নেই। এগুলোই তাদের প্রাণ। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী স্ম্পদ কর্মকর্তা ডক্তার মোঃ আতিকুজ্জামান জানান,ভেড়ার মালিক মঙ্গলবার অফিসে এসেছিলেন। সবকিছু ৎুনে তার কৃমির জন্য ঔষুধ দেওয়া হয়। সেগুলো তিনি যথানিয়মে খাওয়ালে এভাবে মারা যাওয়ার কথা নয়। তার পরও কেন মারা গেলো তা নিশ্চিত হতে তারা নমুনা সংগ্র করেছেন। এই নমুনা পরিক্ষার পর বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ